ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সমস্যা জর্জরিত চমেক হাসপাতালে প্রাণসঞ্চার

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

সমস্যা জর্জরিত চমেক হাসপাতালে প্রাণসঞ্চার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সহিংসতার অগ্নিকা-ে পুড়ে গেছে অধিকাংশ শরীর। দগ্ধ স্থানে চামড়া প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু এত বড় চামড়া কিভাবে পাওয়া যাবে। বার্ন ইউনিটে তো ছোট চামড়াকে বর্ধিত করে বড় করার কোন মেশিন নেই। ১৫ দিন আগে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ডাক্তাররা এমন সমস্যায় পড়লেও এখন আর তাদের এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না। রাষ্ট্রায়ত্ত মেঘনা পেট্রোলিয়ামের অনুদানে কেনা স্কিন মেসার ও কটারি মেশিন তাদের এ দুশ্চিন্তা দূর করেছে। যন্ত্র দুটি চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে যুক্ত হওয়ায় এখন খুব সহজে ছোট চামড়াকে বড় করে অগ্নিদগ্ধের শরীরে প্লাস্টিক সার্জারি করা যাবে। সময়ও অপচয় হবে অনেক কম। এ সম্পর্কে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডাঃ মিনাল কান্তি দাশ বলেন, ‘নতুন যন্ত্রপাতি আসায় এখন আগের চেয়ে অনেক কম সময়ে স্কিন গ্রাফটিং করা যাবে। খুব সহজে দগ্ধ স্থানে চামড়া প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা ম্যানুয়ালি চামড়া প্রতিস্থাপন করতাম। তখন রোগীর বড় অগ্নিদগ্ধ স্থানে প্রতিস্থাপনের জন্য বড় চামড়া নিতে হতো। কিন্তু এখন সেটি করতে হবে না। ছোট চামড়া নিয়ে স্কিন মেসার মেশিনের সাহায্যে বর্ধিত করে বড় ধরনের ক্ষতস্থানে স্থাপন করা যাবে। আর কটারি মেশিনের সাহায্যে অপারেশনের সময় খুব তাড়াতাড়ি রক্ত বন্ধ করা যাবে।’ এদিকে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দেয়া এই দুটি মেশিন অগ্নিদগ্ধ রোগীর স্কিন গ্রাফটিং সহজ করলেও চমেক বার্ন ইউনিট এখনও সমস্যায় জর্জরিত। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও এখানে স্থাপন করা হয়নি কোন আইসিইউ ইউনিট। যে কারণে শ্বাসতন্ত্র পুড়ে যাওয়া কিংবা গুরুতর রোগীদের পাঠানো হয় ঢাকায়। রয়েছে জনবল সঙ্কট। বন্দর নগরীতে অধিক শিল্প কারখানা ও জাহাজ ভাঙ্গা প্রতিষ্ঠান থাকায় দিন দিন এখানে রোগীর চাপ বাড়লেও বাড়েনি জনবল। ৩০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ রোগী ভর্তি হলেও পুরো বিভাগে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ছয়জন। এছাড়া একজন করে কনসালট্যান্ট, প্লাস্টিক সার্জন ও অবেদনবিদ (অ্যানেসথেসিস্ট), দুজন আবাসিক চিকিৎসক এবং একজন সহকারী রেজিস্ট্রার রয়েছেন। প্রতি পালায় রোগীদের দেখভালের জন্য রয়েছেন মাত্র দুজন সেবিকা। এ সম্পর্কে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শহিদুল গনি জানান, পুরো হাসপাতালই শয্যা ও জনবল সঙ্কটে ভুগছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অনেকবার চিঠি দেয়া হয়েছে।
×