অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে যাত্রা শুরুর পর থেকেই নানা ধরনের আনুষঙ্গিক পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পখাত। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি বাজারে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হলে এই শিল্পের পূর্ণ বিকাশের কোন বিকল্প নেই। এমনটাই দাবি এ খাতের ব্যবসায়ীদের।
আর এজন্য চাই প্রণোদনা। পাশাপাশি শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সুবিধা দেয়া হলেও এর পুরোপুরি সুবিধা পান না বলেও অভিযোগ করছেন তারা। গত শতকের আশির দশকে যাত্রা শুরু করে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং শিল্পখাত। ক্রমেই বাড়তে থাকা এ শিল্পের ১৪শ’ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে প্রায় ৪ লাখ মানুষের।
আর এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে তৈরি বোতাম, জিপার, হ্যাঙ্গার, কলার ব্যান্ডসহ প্রায় ৩৫ রকম আনুষঙ্গিক পণ্যের সহজ প্রাপ্যতা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী করে তুলেছে দেশের তৈরি পোশাকখাতকে। বিভিন্ন দেশে বাড়ছে এ খাতের সরাসরি রপ্তানিও। তবে এই শিল্পের বিকাশে সরকারি সহযোগিতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেসব আইটেমস আমাদের দরকার হয় গার্মেন্টসকে সম্পন্ন করার জন্য সেটার পঁচানব্বই শতাংশ আমরা এখানে করছি।’
খান এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদের খান বলেন, ‘সব এক্সপোর্ট সেক্টরে সরকার কিছু না কিছু ইনসেনটিভ দেয়। যেটা এখনও পর্যন্ত আমরা পাইনি।’
এদিকে, এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হলেও, এর সুফল পেতে রাজস্ব কর্মকর্তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। ২০১৮ সালে এ শিল্পের বর্তমান রপ্তানির দ্বিগুণ লক্ষ্যমাত্রা ১২ বিলিয়ন ডলার অর্জনে, সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করার দাবি জানালেন বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী। এছাড়া, সরকার জমি বরাদ্দ দিলে পণ্যের গুণগত মান যাচাইয়ে নিজস্ব অর্থায়নেই টেস্টিং ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠার কথাও জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: