ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিবসেনা কান্ডে হতাশ টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক

পাকিস্তানের ভারত বয়কট শুরু!

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২২ অক্টোবর ২০১৫

পাকিস্তানের ভারত বয়কট শুরু!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইন্ডিয়ান বোর্ড (বিসিসিআই) অফিসে শিবসেনাদের হামলায় জটিল পরিস্থিতির মুখে ক্রিকেট বিশ্বের রাজনীতি। ভারতের সঙ্গে এতদিন সিরিজ খেলতে হাহুতোশ করত যে পাকিস্তান, সেই তারাই এবার ভারত বয়কট শুরু করেছে! আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য ব্লাইন্ড এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা বিষয়ে পাকিরা শঙ্কিত বলে খবরে জানা যায়। ওদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকও। ক্রিকেট থেকে সকল ধরনের রাজনীতিকে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার মুম্বাইয়ে বিসিসিআই অফিসে শিবসেনা সদস্যদের হামলা এবং দুইদেশের বোর্ড কর্মকর্তাদের সভা ভ-ুল হওয়ার পর পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি শাহরিয়ার খান ভারতীয় টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘পাকিস্তান ও সীমান্তের ওপার পাকিস্তানীদের প্রতি বর্তমান সেন্টিমেন্টের কারণেই আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ আর অধিনায়ক মিসবাহ বলেন, ‘ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়ানোটা খুব দুঃখজনক। আমরা বিশ্বজুড়ে সব জায়গায় খেলতে চাই। ভারতের সঙ্গে খেলাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্বের অগণিত মানুষ এটি দেখতে চায়। কদিন আগে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফর করেনি। এই ধরনের সিদ্ধান্ত ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক নয়। আমি আসলেই হতাশ।’ পরিস্থিতি যা তাতে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। মুম্বাইয়ে শিবসেনার ওই হামলার পর পাকিস্তানী আম্পায়ার আলিমদারকে ভারত থেকে সরিয়ে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এমনকি দুই ধারাভাষ্যকার ওয়াসিম আকরাম আর শোয়েব আকতারও দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন। অথচ ভারতেই আগামী বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বৈষয়িক দু’টি টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপ। খোদ আইসিসি যখন ভারতের মাটিতে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে তখন বিষয়টা আসলেই চিন্তার। আগামী ডিসেম্বরে আরব আমিরাতে বহুল প্রতিক্ষিত পাক-ভারত সিরিজ নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার মুম্বাইয়ে বিসিসিআই সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে সভায় বসার কথা ছিল পিসিবি প্রধান শাহরিয়ারের। কিন্তু চরমপন্থী হিন্দু সংগঠন শিবসেনার প্রতিবাদের মুখে সেটি ভেস্তে যায়। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক জহির আব্বাস বলেন, ‘বিষয়টা খুব দ্রুতই সমাধান হওয়া উচিত। নইলে টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় থাকবেই। যেখানে আইসিসি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’ আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে ভারতে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা রয়েছে। গ্রেট জহিরও মিসবাহর মতো ক্রিকেটকে রাজনীতি থেকে আলাদা রাখার আহ্বান জানান।
×