ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট শুরু আজ

দুবাইয়ে এগিয়ে যাওয়ার দ্বৈরথ

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২২ অক্টোবর ২০১৫

দুবাইয়ে এগিয়ে যাওয়ার দ্বৈরথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান-ইংল্যান্ড তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু আজ। আরব আমিরাত পাকিস্তানের ‘দ্বিতীয়’ হোম ভেন্যু, যেখানে দলটির সাফল্য ঈর্ষান্বিত। মরুর দেশে ক্রিকেট কারিশমায় বরাবরই সিদ্ধহস্ত ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিরা! এখানে-সেখানে ধাক্কা খেয়ে আমিরাতে পা রেখেই কেমন ভোজবাজির মতো বদলে যায় দৃশ্যপট। এখানেই ২০১২ সালে আগের দেখায় তখনকার ‘নাম্বার ওয়ান’ ইংল্যান্ডকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করেছিল মিসবাহ-উল হকের দল। অথচ এক ম্যাচের সমীকরণ কেমন বদলে গেছে। চারদিন পর্যন্ত সমান তালে এগোনো আবুধাবি টেস্টের পঞ্চম দিনে আচমকাই জমে ওঠে লড়াই। হারতে হারতে স্বস্তির ‘ড্র’ পায় পাকিস্তান! দুবাইয়ে তাই মানসিকভাবে এগিয়ে ইংলিশরা। আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক এ্যালিস্টার কুক। প্রথম টেস্টের নৈপুণ্যই তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। অন্যদিকে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন ইয়াসির শাহ। বল হাতে ‘তুরুপের তাস’ পেয়ে যারপর নাই খুশি প্রতিপক্ষ সেনাপতি মিসবাহ। দু‘দলই এগিয়ে যেতে মরিয়া। কুক যেমন বলেন, ‘আবুধাবির প্রথম টেস্টটা ছিল সত্যি মনে রাখার মতো। শেষ দিকে প্রায় সবকিছুই আমাদের অনুকূলে ছিল। দুর্ভাগ্য, আলোর ওপর কারও হাত নেই। দ্বিতীয় ইনিংসে রশিদের ফিরে আসাটা ছিল উদাহরণীয়। সব মিলিয়ে ছেলেরা চমৎকার খেলেছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিং। সামনের দশটা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবার মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে সেরাটা দিতে পারলে এখানেও পাকিস্তানকে হারানো সম্ভব। দুবাইয়ে আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামব।’ তার আগে কুক নিজেও দারুণ এক ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান (২৬৩)। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৭৩ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জয়ের জন্য ২১.১ ওভারে ইংল্যান্ডের সামনে ৯৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলে ১১ ওভারে ৭৪ রান তুলেও নেয় এ্যালিস্টার কুকের দল। এরপর আলোর স্বল্পতায় খেলা ড্র হয়। নইলে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিদের কী যে হতো! দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত ইংলিশ লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ইয়াসিরের অনুপস্থিতি তাই মিসবাহর কষ্টটা আরও বাড়িয়ে দেয়। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন সেনসেশনাল লেগস্পিনার। এবার খুশি মিসবাহ, ‘ইয়াসিরের ফেরাটা আমাদের জন্য সত্যি দারুণ খবর। প্রথম টেস্টে ওকে খুবই মিস করেছি। দুবাইয়ে বিশ্বসেরা বোলিং আক্রমণ নিয়ে নামতে পারব।’ ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলি, ইমরান খান, জুলফিকার বাবর, ইয়াসির শাহ আর শোয়েব মালিককে নিয়ে পাকিস্তানের বোলিং আসলেই বৈচিত্র্যময়। ইয়াসিরের নাম আলাদা করে বলতে হয়। গত বছর এই আমিরাতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবং সদ্য শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ২৯ বছর বয়সী লেগস্পিনারের। ১০ টেস্টের ছোট্ট ক্যারিয়ারে ৬১ উইকেট নিয়ে আধুনিক লেগস্পিনে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছেন। প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগেরদিন প্র্যাকটিসে পিঠের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। দুবাইয়ে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইয়াসির ফেরায় খুশি গোটা পাকিস্তানই। কোচ ওয়াকার ইউনুসও সেটি গোপন করেননি। তবে তিনি দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে শিষ্যদের আরও মনোযোগী হতে বলেছেন। প্রথম টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মালিক, সঙ্গে ইউনুস খান, মিসবাহ, আসাদ শফিক, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদদের নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং কম শক্তিশালী নয়। এসএ গেমস পেছানোয় খুশি বক্সাররা! স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভেন্যু অপরিবর্তিত থাকলেও দেড় মাস পিছিয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে এসএ গেমস। অনাকাক্সিক্ষতভাবে একটু বেশি সময় পাওয়ায় বেশ খুশি বাংলাদেশের বক্সাররা। কারণ আসরে বাংলাদেশের অন্যতম সফল ইভেন্ট বক্সিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় কোচ ও বক্সাররা। হাতে সময় কম থাকলেও তাদের অপ্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে বিদেশী কোচের অভাব, বিদেশে প্রস্তুতি ক্যাম্প ও অপর্যাপ্ত নিউট্রেশন। ক্ষিপ্রতা, দক্ষতা, কৌশল ও শক্তিমত্তার খেলা বক্সিং। ক্ষিপ্রগতিতে প্রতিপক্ষকে আঘাতের সঙ্গে রক্ষা করতে হবে নিজেকে। কৌশলের এই বুদ্ধিদীপ্ত খেলায় বাংলাদেশের সাফল্য মন্দ নয়। সেই ১৯৮৫ সালে এসএ গেমসে ১ স্বর্ণসহ ৬ পদক ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশের বক্সাররা। এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ১৯৯৩ সালে আবারও সবার ওপরে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ায় এদেশের বক্সাররা। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১০ এসএ গেমসে ২ স্বর্ণসহ ৭ পদক জেতে বাংলাদেশ। এমন বর্ণিল সাফল্যের পরও, সোনালি পদকের স্বপ্ন দেখতে কুণ্ঠিত দেশসেরা বক্সাররা! সমাধানের পথটাও জানা আছে বক্সার ও অভিজ্ঞ কোচের। তারা জানালেন, বিদেশী কোচ ও দেশের বাইরে টুর্নামেন্ট খেলার প্রয়োজনীয়তার কথা।
×