ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠীর আয়োজনে নাট্যকার একেএ কবীরের জন্মদিন পালন

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২২ অক্টোবর ২০১৫

খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠীর আয়োজনে নাট্যকার একেএ কবীরের জন্মদিন পালন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চনাটকের নিবেদিতপ্রাণ এক ব্যক্তিত্ব একেএ কবীর। অসংখ্য নাটক রচনা করেছেন এই নাট্যকার। এমনকি লিখেছেন বেশকিছু গান ও কবিতাও। ঢাকার একপ্রান্ত জুরাইনে থেকে সৃষ্টিশীল এই মানুষটি গড়ে তুলেছেন খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠী নামের নাট্যদল। বুধবার ছিল এই গুণীজনের ৭৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে তার প্রতিষ্ঠিত দলের পক্ষ থেকে জন্মজয়ন্তী উদ্্যাপনের আয়োজন করা হয়। হেমন্তের সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নৃত্যের নান্দনিকতায় ও নাট্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে জন্মদিন উদ্্যাপনের আয়োজনটি হয়ে ওঠে বর্ণিল। সেই সঙ্গে ছিল বিশিষ্টজনদের ফুলেল শুভেচ্ছা নিবেদন। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে। খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠীর শিল্পীরা পরিবেশন করেন সমবেত সঙ্গীত। অনেক কণ্ঠ এক সুরে গেয়ে শোনায়- বলো ধর্মান্ধতা আর মানবো না/নিজেকে লুকিয়ে রাখবো না... এবং সঙ্কটে সংগ্রামে উত্থানে তুমি আমাদের প্রেরণার উৎস শিরোনামের দুটি গান। কবীরের রচিত ‘মওলা তুমি ছাইড়া যাইও না’ শীর্ষক একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন দলের সদস্য সালমা। সুরের অনুরণন থামতেই মঞ্চে আসেন একেএ কবীরসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। শুরু হয় জন্মদিনের ফুলেল শুভেচ্ছা নিবেদনের পালা। তাকে জন্মদিনের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। বিশেষ অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা নিবেদনের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল আকতারুজ্জামান এবং ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ গিয়াস। একেএ কবীরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অতিথিরা বলেন, অনেক বেশি আলোচিত না হলেও নাট্যাঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠী। নাটকের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও ভূমিকা রেখেছে এ দলটি। আর এই সবকিছুর সফলতার সঙ্গে তত্ত্বাবধান করছেন একেএ কবীর। বক্তাদের আলোচনা শেষে আবার শুরু গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশনা। সব শেষে মঞ্চস্থ হয় একেএ কবীর রচিত ও নির্দেশিত নাটক মাধুরীর বিয়ে। কোর্ট মার্শাল নাটকের ২২৮তম প্রদর্শনী ॥ শিল্পকলা জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হলো থিয়েটার আর্ট ইউনিটের দর্শকনন্দিত প্রযোজনা কোর্ট মার্শাল। নাটকটির মূল লেখক স্বদেশ দীপক। রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন এসএম সোলায়মান। ১৯৯২ সালে নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হয়। ছয় মাস বিরতি দিয়ে বুধবার আবার নাটকটির প্রদর্শনী হয়। এটি ছিল ২২৮তম প্রদর্শনী। সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্ব থেকেই নির্মিত হয় সভ্যতা- এ বাণীকে ধারণ করেই নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। এতে সেনা বিদ্রোহের ঘটনা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। চোখে দেখা সত্যের আড়ালেও থাকতে পারে অবিনাশী সত্য। আর সেই মহান সত্য আবিষ্কারের সংগ্রাম নিয়ে এগিয়েছে নাটকের কাহিনী। প্রযোজনাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মোহাম্মদ বারী, সেলিম মাহবুব, চন্দন রেজা, প্রশান্ত হালদার, সাইফ সুমন, আশরাফ কবির, রিয়াজ হোসেন, স্বাধীন শাহ, লেমন, ফৌজিয়া করিমসহ অনেকে। মঞ্চস্থ চারুনীড়ম থিয়েটার প্রযোজনা মরা ময়ূর ॥ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে বুধবার মঞ্চস্থ হলো চারুনীড়ম থিয়েটার নাটক মরা ময়ূর। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের লেখা প্রযোজনাটির নির্দেশনায় ছিলেন গাজী রাকায়েত। নাটকটির ১২তম প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন- গাজী রাকায়েত, গোলাম সারোয়ার, শর্মীমালা ও নীলুফা লীনা। এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের এ নাটকটি বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজী ভাষাতেও মঞ্চস্থ হয় একই প্রদর্শনীতে। কাল জাদুঘরে জীবনানন্দ দাশ স্মরণসন্ধ্যা ॥ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর শুক্রবার সন্ধ্যায় আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান স্থপতি কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিতর্পণের উদ্দেশ্যে একটি স্মরণসন্ধ্যার আয়োজন করেছে। এ অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতিমান আবৃত্তিকারবৃন্দ কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সমসাময়িককালের প্রধান কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও কবি নির্মলেন্দু গুণ। হাসান আজিজুল হক জীবনানন্দ দাশের ওপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি সচিব বেগম আক্তারী মমতাজ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি এম আজিজুর রহমান।
×