ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির রোল মডেল বাংলাদেশ ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ২১ অক্টোবর ২০১৫

অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির রোল মডেল বাংলাদেশ ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বাংলাদেশ আজ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময় সকল ধর্মের মানুষ যার যার ধর্ম নিবিঘেœ পালন করছে। ঈদ ও পূজা আজ সকল ধর্মের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে বার বার আঘাত এসেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সেই আঘাত প্রতিরোধ করে রুখে দাঁড়িয়েছে। জয় হয়েছে সত্যের। বার বার জয় হয়েছে বাংলার জনগণের। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী পূজাম-প পরিদর্শকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ নেতা শরীফ নূরুল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার রায় প্রমুখ। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর রমনা কালিমন্দির, রামকৃঞ্জ মিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, কলাবাগান ও মিরপুরে পূজাম-প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান। পূজাম-প পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ১৪ দলের নেতাকর্মীরা পূজা উৎসব নির্বিঘেœ রাখতে প্রধানন্ত্রীর নির্দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশে বিািভন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এ সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকল ধর্মের লোকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সমমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে মানবিকতা বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে অব্যাহত রাখতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি শান্তি ও সম্প্রতির অপূর্ব মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মেই রয়েছে মৈত্রী, করুণা, দয়া, সেবা, দান, মমতা, ভালবাসা, ত্যাগ, সহিষ্ণুতা, পরোপকারিতার কথা। প্রতিটি ধর্মই এগুলো শিক্ষা দেয়। প্রতিটি ধর্মেই চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-জ্ঞান ও মননে এবং জীবনের সকল আচার-আচরণে বিনয়ী ও নৈতিকতা বোধসম্পন্ন হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়েই একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে হবে। এভাবে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
×