ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হস্তান্তরের আগেই স্কুলভবন ব্রহ্মপুত্রে

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২০ অক্টোবর ২০১৫

হস্তান্তরের আগেই স্কুলভবন ব্রহ্মপুত্রে

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ চিলমারীতে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নটারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন হস্তান্তর না করতেই অর্ধাংশ ব্রহ্মপুত্র নদেগর্ভে চলে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের সীমাহীন দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে ভাঙ্গনকবলিত এলাকার অদূরেই বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করায় স্কুল ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নির্মিত ভবনটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর না হওয়ায় নিলামে বিক্রি করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর দরপত্র আহ্বান করে। যথারীতি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিলে ওই ঠিকাদার স্থানীয় মফিজল হক নামের এক ব্যক্তির কাছে কাজটি বিক্রি করে দেয়। এরপর বিদ্যালয়টি যেকোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে জেনেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের নিযুক্ত ওই ব্যক্তি শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগসাজশ করে অতি নিম্নমানের ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের নিযুক্ত ওই ব্যক্তি শুরু থেকে নিম্নমানের কাজ করায় এলাকাবাসী আপত্তি দিয়ে আসছিল। কিন্তু তাদের সে আপত্তি আমলে নেয়নি শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ। সম্প্রতি পানি কমে যাওয়ায় ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করলে ভবনটি ভেঙ্গে যেতে পারে এমন আশঙ্কার কথা প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগকে লিখিতভাবে জানান। এদিকে চিঠি চালা-চালির এক পর্যায়ে বিদ্যালয়টির অর্ধাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যথারীতি কাজ হয়েছে। স্থানীয় লোকজন স্কুলটি বুঝে না নেয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়।
×