ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দুর্গা মন্দির বরিশালে ব্যাপক আয়োজন

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দুর্গা মন্দির বরিশালে ব্যাপক আয়োজন

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ ১৬৫ বছরের পুরনো ও তৎকালীন ভারতীয় উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ দুর্গা মন্দির হচ্ছে বরিশালের গৌরনদী পৌর সদরের আশোকাঠী মহল্লার প্রয়াত জমিদার মোহন লাল সাহার বাড়ির দুর্গা মন্দির। ওই মন্দিরে মহাধুমধামের মধ্যদিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও হাজারো ভক্তের পদচারণায় মুখরিত হবে। এতদাঞ্চলের মধ্যে এ দুর্গা মন্দিরটি সর্ববৃহৎ হওয়ায় প্রতিবছরই ব্যক্তিগত উদ্যোগে মহাধুমধামের সঙ্গে এখানে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জমিদার বাড়ির উত্তরসূরিদের কাছে জানা গেছে, ১৮৫০ সালে জমিদার প্রসন্ন কুমার সাহার উদ্যোগে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। জমিদার প্রসন্ন কুমার সাহা ছিলেন খ্যাতিমান জমিদার মোহন লাল সাহার পিতা। কারুকার্জ খচিত ঐতিহাসিক এ মন্দিরের ছাদের ওপরের চার পাশের সিংহ মূর্তিগুলো আজও কালেরসাক্ষী হয়ে রয়েছে। জমিদার মোহন লাল সাহার পুত্র প্রয়াত মানিক লাল সাহার স্ত্রী ও স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী অরুনা সাহা জানান, তৎকালীন সময়ে ভারতীয় উপ-মহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ মন্দির হিসেবে এ মন্দিরটিতে ভক্ত দর্শনার্থীরা পুজো-অর্চনা করতে ভিড় করতেন। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমার এ মন্দিরটিতে এখনও তারই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। জমিদার বাড়ির উত্তরসূরি প্রভাষক রাজা রাম সাহা জানান, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার ও তাদের স্থানীয় সহযোগী রাজাকাররা এ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করেছিল। যশোরে রাক্ষসের মুখ স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস থেকে জানান, শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন দৃষ্টিনন্দন ও চমকপ্রদ করতে নিরলস চেষ্টা করেছেন আয়োজকরা। দেবী বোধনের মধ্যে দিয়ে রবিবার পুজো শুরু হয়েছে, বিভিন্ন মন্দিরে সাজ-সজ্জা করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন। যশোর শহরের পুলিশ লাইন গোড়াপাড়া সার্বজনীন পুজো মন্দিরে এ বছর আয়োজনে ব্যতিক্রমী থিম থাকছে অশুভ শক্তির বিনাশ।
×