ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বকশীগঞ্জ সীমান্তে অবৈধ করাতকলের ছড়াছড়ি

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

বকশীগঞ্জ সীমান্তে অবৈধ করাতকলের ছড়াছড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ১৮ অক্টোবর ॥ বকশীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ী সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থানে অনুমতিবিহীন ও অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাতকল (স’মিল) বন্ধের দাবি জানিয়েছে বৈধ মালিকরা। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল। এসব লাইসেন্সবিহীন করাতকল বন্ধের দাবিতে বৈধ করাতকল মালিকরা বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বর্তমানে ৪৬টি করাতকল রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ৬টি করাতকল প্রশাসনের ছাড়পত্র নিয়ে কাঠ চেরাই করছে। এসব করাতকলে অবাধে চেরাই হচ্ছে বন-বাগান ও সড়কের পাশের সৃজন করা চোরাই কাঠসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ। সরকারী নিয়মানুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ও সরকারী বাগানের ৭ কিলোমিটারের মধ্যে সরকারী অনুমতি ছাড়া কোন করাতকল স্থাপন করা যাবে না। সরকারী এই নিয়ম-নীতিকে অমান্য করে বকশীগঞ্জের সীমান্তবর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আশপাশেই যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল। এসব করাতকলে কাঠ পাচারকারীরা তাদের চোরাইকৃত কাঠ চেরাই করে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পাচার করছে। অবৈধ করাতকলে চোরাই কাঠ চেরাই করে শহরে আনা হচ্ছে। এ কারণে মোটা অঙ্কের সরকারী রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৩ কিলোমিটারের মধ্যেই করাতকল স্থাপন করে পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে সব করাতকল। এসব অবৈধ করাতকল দেখার মতো কোন কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলে নেই। ৪৬টি করাতকলের মধ্যে মাত্র ৬টি করাতকলের লাইসেন্স থাকলেও অধিকাংশ করাতকলই অবৈধ পন্থায় চলছে। আবার যে করাতকলগুলোর লাইসেন্স আছে সেগুলোরও সময়মতো নবায়ন করা হয় না। নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে এসব করাতকল। অবৈধ করাতকল মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না করায় দিন দিন এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবার করাতকলের আড়ালে চলছে অবৈধ কাঠ ব্যবসা। অবৈধ কাঠ ব্যবসার ফলে করাতকল মালিকরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নার্গিস পারভীন জানান, শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×