ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মংলা-ঘাসিয়াখালী নৌ চ্যানেলে নাব্য সঙ্কটের আশঙ্কা

খাল দখল করে চিংড়ি চাষ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

খাল দখল করে চিংড়ি চাষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ১৮ অক্টোবর ॥ মংলা-ঘাসিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুটের সংযোগকারী তিনটি সরকারী খাল প্রভাবশালী ব্যক্তি জবর দখল করে চিংড়ি চাষ করছে। ইতোপূর্বে ওই খালগুলোর বাঁধ অপসারণ ও দখলমুক্ত করতে সরকারী উদ্যোগ নেয়া হলেও রহস্যজনক কারণে তা কার্যকর হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে সরকারী খাল তার দখলে রেখেছে। আর এ সব খাল দখলমুক্ত ও বাঁধ অপসারণ না হওয়ায় মূল চ্যানেলের নাব্য ও স্রোত ঠিক থাকছে না। অপরদিকে এলাকাবাসীকে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরজমিনে দেখা গেছে, মংলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে কয়েকটি খাল রয়েছে। এই খালগুলো মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেলের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত। এর মধ্যে তকতামারী, কাটাখালী ও সুরমোহলীতে খালে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিংড়ি চাষ করছে বাগেরহাটের রামপাল থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম সরোয়ার ওরফে সরো হাজী নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেল সচল রাখতে সরকার সম্প্রতি এই চ্যানেলের সংযোগকারী সরকারী খাল দখলমুক্তসহ বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেয়। এতে স্থানীয় প্রশাসন খালের বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নিয়ে কিছু খাল দখলমুক্তসহ বাঁধ অপসারণ করলেও রহস্যজনক কারণে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে থাকা ৩টি খাল এখনও অপসারণ হয়নি। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনা (ভূমি) নাজমুল হক বলেন, মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেলের তালিকাভুক্ত সরকারী রেকর্ডিয় খালগুলো উন্মুক্ত করার বরাদ্দকৃত প্রথম দফার অর্থ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক খাল এখনও উন্মুক্ত করা যায়নি। দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দ অনুমোদন হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×