ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এক হয়ে দারিদ্র্যের ভূত তাড়াব ॥ গবর্নর

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

এক হয়ে দারিদ্র্যের ভূত তাড়াব ॥ গবর্নর

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দারিদ্র্য একটি ভূতের নাম। আমরা যদি ঠিকমতো নীতি গ্রহণ করি এবং সুষ্ঠুভাবে তা বাস্তবায়ন করি, তাহলে শুধু টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জ থেকে নয়, বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য নামের ভূতটিকে হটিয়ে দিতে পারব। শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার মসজিদ কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের আওতায় এবং জনতা ব্যাংকের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া পৌর-এলাকার সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে গত বছর থেকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল’ নামে একটি সিএসআর তহবিল চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা থেকে প্রতি বছর ১০ কোটি টাকা এ তহবিলে জমা করা হয়। এ তহবিল থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, পরিবেশ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বার্ন ইউনিট ও ফায়ার সার্ভিসের মতো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, প্রযুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়ন, প্রবীণের সক্ষমতা অর্জন, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন, বীরাঙ্গনাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অশ্রুমোচন এবং দেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচী বিষয়ক প্রকল্পের অনকূলে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে টুঙ্গিপাড়ার ২শ’ ১২টি সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫৩ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সিএসআর কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশব্যাপী আরও ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং দেশের টেকসই উন্নয়নে বিশ্বে আরও একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। এ জন্য তিনি ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনকল্যাণমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রমের দিকে আরও যতœশীল ও মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। দারিদ্র্য নামের ভূতকে তাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে তিনি আরও বলেন, সম্মিলিত প্রয়াস ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশ থেকে অচিরেই দারিদ্র্য বিতাড়িত করা সম্ভব হবে। এ সময় তিনি শ্রেষ্ঠ গবর্নর হিসেবে যে পুরস্কার পেয়েছেন তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এদেশের হাজারো শ্রমজীবী মানুষ ও নাম জানা-নাজানা মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য শহীদদের নামে উৎসর্গ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান ও জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম। জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ নাজিমউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
×