ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আর্থিক গরমিলেও রিজেন্টের আইপিও অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

আর্থিক গরমিলেও রিজেন্টের  আইপিও অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আর্থিক প্রতিবেদনে নানা গোঁজামিল সত্ত্বেও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পেয়েছে রিজেন্ট টেক্সটাইল। গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর ৫৫২তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। বুধবার থেকে এ কোম্পানি আইপিও’র মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। কোম্পানিটি পাঁচ কোটি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের বরাদ্দ মূল্য হচ্ছে ২৫ টাকা। এদিকে আজ রবিবার উচ্চ আদালতে রিজেন্ট টেক্সটাইলের আইপিওর চাঁদা গ্রহন স্থগিত বিষয়ে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। রিজেন্ট টেক্সটাইলের আইপিও প্রসপেক্টাসের ১১৮ পৃষ্ঠায় ২০১১ সালে কোম্পানির স্বল্পমেয়াদী নিট ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ১২০ পৃষ্ঠার ক্যাশ ফ্লোতে ২০১২ সালে কোম্পানিটি ২ কোটি টাকা ঋণগ্রহণ করেছে বলে দেখানো হয়েছে। সে হিসাবে ২০১২ সালে নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কিন্তু ১১৮ পৃষ্ঠায় ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটি ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা কম ঋণ দেখিয়েছে। অপরদিকে কোম্পানির হিসাব অনুযায়ী, ২০১২ সালের ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ঋণের হিসাব বিবেচনায় নিলেও ২০১৩ সালের নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কারণ, কোম্পানিটি ২০১৩ সালে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকার ঋণ সংগ্রহ করেছে বলে উল্লেখ করেছে ১২০ পৃষ্ঠায়। কিন্তু কোম্পানিটি ঋণের পরিমাণ দেখিয়েছে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ টাকা কম দেখানো হয়েছে। আবার ১২০ পৃষ্ঠায় ২০১৩ সালে কোম্পানিটির স্বল্পমেয়াদী গৃহীত নিট ঋণের পরিমাণ ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা দেখানো হলেও ১৪১ পৃষ্ঠায় ৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ একই বছরের স্বল্পমেয়াদী ঋণ গ্রহণের বিষয়ে পৃষ্ঠাভেদে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৪১ পৃষ্ঠায় ২০১৩ সালের স্বল্পমেয়াদী ঋণ গ্রহণকে ক্যাশ ফ্লোর ফাইন্যান্সিং এ্যাক্টিভিটিজ ক্যাটাগরিতে আবার ৬৫ পৃষ্ঠায় অপারেটিং এ্যাক্টিভিটিজ দেখিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটি এখানেও একই বিষয়কে পৃষ্ঠাভেদে ভিন্নভাবে দেখিয়েছে। ১৬২ পৃষ্ঠার নোট ১৮.১ অনুযায়ী ট্রাস্ট রিসিটের (এলটিআর) বিপরীতে ঋণ নেয়া হলেও ১২০ পৃষ্ঠার ক্যাশ ফ্লোতে এলটিআর ছাড়া ঋণ নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
×