ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারকেল তেলের যত রোগ নিরাময় গুণ-

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

নারকেল তেলের যত রোগ নিরাময় গুণ-

ন্যাচারোপ্যাথিক চিকিৎসক ও ‘দ্য কোকোনাট অয়েল মিরাকল’ গ্রন্থের লেখক ডাঃ ব্রুস ফাইফ নারকেল তেলকে পৃথিবীতে সবচেয়ে স্বাস্থ্য সম্মত তেল বলে অভিহিত করেছেন। এ মাঝারি পরিমিতি চর্বিযুক্ত তেলকে অনন্য স্নেহ জাতীয় খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের বাইরে বিভিন্ন ধরনের ওষুধি উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কেউ নারকেল তেল ব্যবহার শুরু করলে তার মধ্যে যে অসামান্য গুণ রয়েছে সে বিষয়টি তার কাছে স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। বিশোধন গুণ ॥ যে সকল গ্রীষ্মম-লীয় অঞ্চলে নারকেল গাছ জন্মায় সেসব অঞ্চলে নারকেল তেল খাদ্য উপাদানের বাইরে ওষুধি উপাদান হিসেবে ব্যবহারে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ তেলে কেমন মাঝারি পরিমিতির চর্বিযুক্ত এসিড রয়েছে, তার ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে লস এ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্টি কলেজ। এ তেলে রয়েছে শক্তিশালী ভাইরাস বিরোধী, ছত্রাকবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী গুণ। এ তেল আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়া পুনর্গঠনে ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ক্যান্ডিডার মতো জীবাণু বিনাশ করে। কর্ণশক্তি বর্ধক ॥ শরীর পরিচালনায় এ মাঝারি পরিমিতির চর্বি অন্যান্য চর্বি থেকে পৃথকভাবে কাজ করে। বেশিরভাগ ডায়েট্রি চর্বি যেখানে অন্ত্রের বাইরে এসে লিম্ফেটিক সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়ার পরই কেবল রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে এবং পরে কলেস্টেরল উপাদানের সঙ্গে মিলিত হয়- সেখানে মাঝারি পরিমিতির চর্বি আরও অনেক প্রত্যক্ষ সংযোগে চলাচল করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ॥ লিপিড গবেষক ও আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রিশনের ফেলো মেরি এনিগ, পিএইচডি বলেন, নারকেল তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়কের ভূমিকা পালন করে। এ তেল শরীরকে সতেজ রাখে। তিনি বিভিন্ন সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, নারকেল তেল ব্যবহারে মোট কলেস্টেরল, মন্দ কলেস্টেরল ও লিপোপ্রোটিন-এ হ্রাস পায়। ওজন হ্রাস ॥ নারকেল তেলের রয়েছে ওজন কমিয়ে দেয়ার গুণ। অতিরিক্ত চর্বি ধ্বংস করে দেয়ার শক্তি রয়েছে এ তেলের মধ্যে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অত্যাধুনিক কপ্টার ভারতেই তৈরি করবে বোয়িং চীন আর পাকিস্তানের চিন্তা বাড়িয়ে ভারতে অত্যাধুনিক কপ্টারের কারখানা গড়তে চলেছে বোয়িং। যুদ্ধক্ষেত্রে মোক্ষম অস্ত্র এ্যাপাচি হেলিকপ্টার এবার ভারতে বানাতে চায় সংস্থাটি। শক্তিশালী দেশগুলোর বিমানবাহিনীর অন্যতম সেরা ভরসা যে চিনুক হেলিকপ্টার, ভারতে সেই চিনুক তৈরির কথাও ভাবছে বোয়িং। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের। এ্যাপাচি ও চিনুক আধুনিক যুদ্ধ-বিগ্রহে অপরিহার্য। বোয়িংয়ের তৈরি এই দুই ধরনের হেলিকপ্টার মার্কিন বিমান বাহিনীর কাছে প্রায় মেরুদ-ের মতো। উপসাগরীয় যুদ্ধ হোক বা ইরাকে অভিযান সর্বত্রই এ্যাপাচি হেলিকপ্টারের ভয়ঙ্কর হামলা ছিল মার্কিন বিমানবাহিনীর দ্রুত সাফল্যের অন্যতম কারণ। যুদ্ধক্ষেত্রে আক্রমণকারী হেলিকপ্টার এ্যাপাচি আকাশ থেকে ঝড়ের মতো গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এই হেলিকপ্টার থেকে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও হামলা চালানো যায় শত্রুপক্ষের ওপর। অত্যাধুনিক সেন্সরের দৌলতে এ্যাপাচি রাতের অন্ধকারেও নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। দৈত্যাকার চিনুক হেলিকপ্টারও আমেরিকা, চীন, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ অনেকগুলো দেশের বিমানবাহিনীর কাছে খুব নির্ভরযোগ্য এয়ারক্র্যাফট। কম সময়ে বাহিনীকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেয়া, ভারি যুদ্ধাস্ত্র বহন করা, ক্যাম্প তৈরির মালপত্র অস্বাভাবিক দ্রুততায় দুর্গম থেকে দুর্গমতর এলাকায় নিয়ে যাওয়া এবং এ রকম নানা কাজের জন্য চিনুক আধুনিক যুদ্ধে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। গত মাসে আরও ২২টি এ্যাপাচি এবং ১৫টি চিনুক হেলিকপ্টার কেনার জন্য ভারত সরকার ৩০০ কোটি ডলারে দিয়েছে বোয়িংকে। সেই ৩৭টি হেলিকপ্টার যত দ্রুত সম্ভব ভারতের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছে নির্মাতা সংস্থা। পাশাপাশি ভারতে সমর সরঞ্জামের বাড়তে থাকা চাহিদা এবং মোদি সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সেøাগানের কথা মাথায় রেখে বোয়িং এবার এ্যাপাচি বা চিনুকের মধ্যে যে কোনও একটি হেলিকপ্টারের কারখানা ভারতেই বানাতে চায়।
×