ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে ॥ বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে ॥ বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে অতি দারিদ্র্যতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। তবে এতে ২০৩০ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্যতা বিমোচন করা একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবসের আগে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হবে। খবর বাসসর। জাতিসংঘ (ইউএন) ১৯৯৩ সালের পর থেকে প্রতিবছর ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালন করে আসছে। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলা : দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে এগিয়ে আসা। এ বছরে দিবসটি পালনে অধিক তাৎপর্য রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ (এসডিজি) সামনে রেখে দিবসটি পালিত হতে যাচ্ছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্য বিমোচনের মূল চ্যালেঞ্জের প্রতি তাদের অংশীদার দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্যের অবসানের লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে এ অঞ্চলে অতি দরিদ্র লোকের সংখ্যা ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পাবে। সারাবিশ্বে এই হার ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তবে সর্বশেষ এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে দরিদ্রের অবস্থান সম্পর্কে সর্বশেষ কোন তথ্য দেয়া হয়নি। তবে বাংলাদেশের ওপর বিশ্বব্যাংকের সারসংক্ষেপে দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে এবং মানব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশটির অগ্রগতি হচ্ছে। এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, সরকার পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, সরকারের এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রবৃদ্ধি এবং রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধি ও শিক্ষার হার আরও বাড়াতে হবে।
×