ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মার থাবায় ক্ষতবিক্ষত খড়িয়া গ্রাম ॥ ফের ভাঙন আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

পদ্মার থাবায় ক্ষতবিক্ষত খড়িয়া গ্রাম ॥ ফের ভাঙন আতঙ্ক

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা থাবায় ক্ষত-বিক্ষত খড়িয়া গ্রাম। পদ্মা সেতুর অবকাঠামো চত্বরের পার্শ্ববর্তী এই গ্রামটির মানুষের মধ্যে এখন শঙ্কা। সর্বস্ব হারিয়ে অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। আর নদী তীরের বহু পরিবার এখন বাড়িঘর হারানোর শঙ্কায় রাতের ঘুম হারাম। বর্ষা বিদায় হলেও ভাঙনাতঙ্ক বিদায় হয়নি। এদিকে গ্রামটি নদী ভাঙন থেকে রক্ষায় এখনও কার্যকরী পদেক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে আজ শুক্রবার খড়িয়ার কাছে দোগাছিতে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়ায় বসছে ‘সচিব সভা’। খড়িয়াবাসীদের দাবি অন্তত বিক্রমপুরের প্রাচীন এই গ্রামটি রক্ষায় যেন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। গ্রামটির অধিবাসী কামরুল হাসান জানান, পদ্মা সেতুর স্বার্থেই এই গ্রাম রক্ষা প্রয়োজন। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর নদী শাসনের সঙ্গে এই গ্রামটি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। পানি উন্নয়ন বোর্ডে এই গ্রাম রক্ষায় প্রকল্প প্রণয়ের কাজ করছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এখনই এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে আগামী বর্ষায় ‘খড়িয়া’ রক্ষা করা কঠিন হবে। বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) সুলতান উদ্দিন খান জানান, বিআইডব্লিউটিএর একটি ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে ভাঙন এলাকায় ডাম্পিং করা হচ্ছে। খননকৃত মাটি সেখানে ফেলায় ভাঙন সাময়িক বন্ধ হচ্ছে। তবে চরের মুখটি কাটার বিষয়ে পরিক্ষা-নিরীক্ষা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী। তারা প্রকল্প প্রণয়নের চেষ্টা করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আমজাদ হোসাইন জানান, খড়িয়া গ্রামের ভাঙনরোধে একটি ডিজাইন টিম সরেজমিন ঘুরে এসে এক কিলোমিটার এলাকায় বালুর বস্তা ফেলার জন্য ৮ কোটি ২০ লাখ টাকার বরাদ্দের জন্য পেশ করে। কিন্তু উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এটি নাকচ করে দিয়েছেন। প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এদিকে পদ্মা সেতুর কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড নদী ভাঙনের কবলে পড়লেও এই ভাঙনরোধ হয়। তবে পরে এই ভাঙনরোধ হয়। তবে ভবিষ্যত শঙ্কা কাটেনি। তবে নদী শাসনে এই ভাঙন বন্ধ হবে বলে জানিয়েছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ।
×