ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৬ অক্টোবর ॥ ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পশ্চিমে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে রাণীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর গ্রাম। একাত্তরের সেই দিনগুলোতে রাউতনগর গ্রামে কত বাঙালী নারী পাক সেনাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছিলেন তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। জেলার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ২০০৭-০৮ সালে গ্রামটিতে সরেজমিনে অনুসন্ধান করেন। এর মাধ্যমে জেলার ৩৫ জন নারীকে শনাক্ত করেন তারা। যারা একাত্তরে পাক সেনাদের হাতে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ২৪ জন নারী নাম পরিচয় প্রকাশে রাজি হন। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পরে ১২ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের ৪১ জন বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ৬ জন বীরাঙ্গনা। সরকারের এমন ঘোষণায় খুশি রানীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর গ্রামের মুগল বাসুগীর কন্যা সুমি বাসুগী, একই উপজেলার নিয়ানপুর গ্রামের জমরত আলীর কন্যা মালেকা, একই উপজেলার রাউতনগর গ্রামের মঙ্গল কিসকুর (শহীদ) কন্যা মনি কিসকু, ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার শিদলী গ্রামের বনহরি সরকারের কন্যা নিহারানী দাস, একই উপজেলার পকন্বা গ্রামের মনির উদ্দিনের কন্যা নূরজাহান বেগম, একই জেলার রাউতনগর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের কন্যা হাফেজা বেগম। বীরাঙ্গনা নিহারানী দাসের ছেলে বিজয় দাস বলেন, ‘আমারা আমাদের মাকে নিয়ে গর্ভবোধ করি। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে তাদের অবদানও কম নয়।’ বর্তমানে রানীশংকৈল উপজেলার বীরাঙ্গনাদের অনেকেই অনাহারে অর্ধাহারে অসুস্থ অবস্থায় দিনযাপন করছেন। দীর্ঘ ৪৪ বছর হলেও তাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তাদের দাবি সরকার যেন ক্রমান্বয়ে সকল বীরাঙ্গনাকে এ স্বীকৃতি দেন।
×