ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজব হলেও গুজব নয়

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ১৬ অক্টোবর ২০১৫

আজব হলেও গুজব নয়

বালিশযুদ্ধ! যুক্তরাষ্ট্রের একটি মিলিটারি একাডেমিতে বার্ষিক বালিশযুদ্ধে নেমেছিল একদল মিলিটারি ক্যাডেট। কিন্তু ক্যাডেটরা অন্যদের সহজে হারাতে বিপজ্জনক প্রতারণার আশ্রয় নিল। ওরা করল কী, বালিশের ভেতরে ভরে দিল হেলমেট, বডি আর্মারসহ নানা রকমের ধাতব বস্তু। এরপর যা হওয়ার হলো তা-ই! মুহূর্তে আনন্দ রূপ নিল বিষাদে। ধাতব বস্তুতে ঠাসা বালিশের আঘাতে আহত রক্তাক্ত হলো প্রতিযোগীরা। অন্তত ৩০ জনের চোট বেশ মারাত্মক। আর কম করেও ২৪ জন অচেতন হলো। ঘটনাটা ঘটেছে নিউইয়র্কের ওয়েস্ট পয়েন্টের এক মিলিটারি একাডেমিতে। কিন্তু মিলিটারি একাডেমির গোপনীয়তার বেড়াজাল পেরিয়ে এ খবর ঠিকই রাষ্ট্র হয়ে গেছে ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে শিক্ষানবিস আহত মার্কিন সেনাদের রক্তাক্ত ছবির পর ছবি। ‘আহতদের মধ্যে ৪ জন পেয়েছে মাথায় মারাত্মক আঘাত, একজনের ভেঙ্গেছে পা, দু’জনের ভেঙ্গেছে হাত, একজনের কাঁধের হাড় গেছে সরে, আর বাকিদের সবার ভেঙ্গেছে পাঁজরের হাড়।’Ñএক মিলিটারি ক্যাডেট তার পোস্টে বলেছে এ কথা। ঘটনাটা ঘটেছিল ২০ আগস্ট। কিন্তু তা এতদিন ‘সামরিক গোপনীয়তা’ হিসেবে সবার অগোচরেই ছিল। পত্রপত্রিকাগুলোও ছিল এ ব্যাপারে নীরব। অবশেষে দিনকয় আগে নিউইয়র্ক টাইমস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করল। কঠিন গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিবছরই সামরিক ক্যাডেটরা বার্ষিক বালিশযুদ্ধে নামে। নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি আর বন্ধুত্ব বাড়ানোর জন্যই ক্যাডেটদের এই বালিশযুদ্ধ। কিন্তু এবারই কেবল রক্তারক্তির এমন ঘটনা। লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্রিস্টোফার কাসকার জানান, প্রতিবছর ফার্স্ট ইয়ারের ক্যাডেটরাই এই বালিশযুদ্ধে নামে। এদের তদারকি করে সিনিয়র ক্যাডেটরা। সবারই মাথায় হেলমেট ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বর্ম পরে নেয়াই নিয়ম। কিন্তু বেশিরভাগ ক্যাডেটই এবার তা না করে গোপনে ওইসব ধাতব বস্তু ভরে রেখেছিল তাদের বালিশে। এ কারণেই অহেতুক এই রক্তারক্তি। তিনি জানালেন এই ঘটনায় কাউকে শাস্তি দেয়া হয়নি। তবে কেন এহেন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল তার কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে তদন্ত। বলে রাখা ভাল, এই সামরিক একাডেমিটা চলে বেসরকারী অর্থায়নে। এখান থেকে শিক্ষা নেয়া অনেকই পরে মার্কিন সেনাবাহিনীর উচ্চপদে আসীন হয়েছেন। আর হ্যাঁ, এই বার্ষিক বালিশযুদ্ধ হয়ে আসছে সেই ১৮৯৭ সাল থেকে। রোবট রাঁধুনি দশ কেজি মাংস রান্না করতে সময় লাগে মাত্র চার মিনিট। সুস্বাদু এই রান্নার রাঁধুনি কোন মানুষ নয়, এ যে রোবট রাঁধুনি! শুনতে অবাক লাগলেও এমন দুটি রোবটকেই চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে রাঁধুনি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। হেইলংজিয়াং প্রদেশের নর্থওয়েস্ট ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের রাঁধুনির কাজ করছে রোবট দুটি। শুধু রান্নাই নয়, এক ঘণ্টায় ৫০০ জনকে খাবার পরিবেশন করতেও পারে রোবটগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়টির লজিস্টিক সার্ভিস কোম্পানির ম্যানেজার সান ইয়েনশেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রোবট দুটি পৃথকভাবে দুই হাজার রকমের খাবার প্রস্তুত করতে পারে। চুলায় আগুন জ্বালানো, তেল-মসলাসহ খাবারের সব উপাদান পরিমাণমতো রান্নায় দিতে সক্ষম তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের ৭০ শতাংশ খাবার বর্তমানে ওই রোবট দুটিই প্রস্তুত করছে বলেও জানান ইয়েনশেন। রন্ধন কাজে মানবশক্তির ব্যবহার ও খাদ্য উপাদানের অপচয় কমানো ছাড়াও রান্নার সময় ৫০ শতাংশ ধোঁয়াও কমিয়ে এনেছে রোবট দুটি। সাত-সতেরো প্রতিবেদক
×