ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাসান মুন্না

মানুষে মানুষে দূরত্ব

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

মানুষে মানুষে দূরত্ব

ইকবাল সাহেব ঘামছেন। সকালে কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করে তিনি হাঁপিয়ে উঠেছেন। গলির মুখে আসতেই দেখেন একটা এ্যাম্বুলেন্স ঢোকার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেভাবে জায়গা না পাওয়ায় ঢুকতে পারছে না। একবার পেছনে যাচ্ছে আবার সামনে আসছে। কার বাসায় রোগী কে জানে? কী সিটি কর্পোরেশন, কী রাজউক! এভাবে যে রাস্তার জন্য জায়গা ছেড়ে না দিয়ে বাড়ি হয়েছে, তার কোন খবর রাখে না। কোন দায়িত্বের মধ্যে নেই, শুধু ট্যাক্সের টাকা নেয়াই কাজ। বিপদে পড়লে একটা গাড়ি ঢুকতে যে পারবে না, সেটা পর্যন্ত দেখে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে একটু এগিয়ে যান তিনি। ইকবাল সাহেব তিনতলার ফ্ল্যাটে থাকেন। বাসায় ঢুকতে যাবেন এসময় লক্ষ্য করেন, পাশের ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। কাউকে নিচে নামানোর প্রস্তুতি চলছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বুঝতে পারেন রোগী এ বাসারই। জানলেন, সারা রাত অনেক বেশি খারাপ অবস্থা ছিল। কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। রাতে তা অনেক বেড়ে যায়। নিজের পাশের ফ্ল্যাটের মধ্যে এমন অবস্থা, অথচ তিনি জানলেন না। আর কিছুক্ষণ আগে তিনিই কিনা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বকা দিচ্ছিলেন খবর না রাখায়। একটু লজ্জা হচ্ছিল তার। ইকবাল সাহেব নিচে নেমে আসেন। যতক্ষণ পর্যন্ত রোগীকে এ্যাম্বুলেন্সে ওঠানো না হয়, দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঢাকার উত্তর মুগদার ঘটনা এটি। রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোতে মানুষে-মানুষে দূরত্ব যেন আরও বেশি। সময়ের পেছনে ছুটছে সবাই। পাশের বাসার মানুষগুলোর সঙ্গে পরিচয় পর্যন্ত থাকে না। প্রাইভেসিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। মিডিয়াতে একজনকে ধরার খবর হলো। পরে দেখা গেল ওই বিল্ডিংয়ে যে সে থাকত এটাই সেখানকার অনেকে জানত না। মেম্বার পাড়া, বান্দরবান থেকে
×