ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে গঠন হচ্ছে কমিশন

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে গঠন হচ্ছে কমিশন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের পর এবার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এজন্য একটি কমিশন গঠন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা শীঘ্রই অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে। জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন ২০১৫’ গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে খসড়া প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; শীঘ্রই যা সুপারিশ আকারে পাঠানো হবে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে। এর আগে এ প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে পাঠানো হলেও তাদের মতামত অনুযায়ী এবার প্রস্তাবনা সরাসরি পাঠানো হবে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে। গত ১ জুলাই থেকে নতুন জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানান। এর পর রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে শ্রম সচিব মিকাইল শিপার বলেন, সরকার জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ ঘোষণা করেছে। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রস্তাবনা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে; শীঘ্রই যা অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে পাঠানো হবে। নতুন কমিশন শ্রম উৎপাদনশীলতার নিরিখে রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন সাব-সেক্টর যেমন বস্ত্র ও পাট, রসায়ন, খাদ্য, চিনি, সার ও বনশিল্প এবং ইস্পাত ও প্রকৌশল খাতে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করবে। ভারতে পাট মজুদ খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অসময়ে অতি বৃষ্টির জেরে চলতি বছরে পাট উৎপাদন কমে যাওয়ায় আশঙ্কা করছে ভারতের চটশিল্প। আর তা থেকেই অভিযোগ উঠছে ‘বেআইনীভাবে’ কাঁচাপাট মজুদের। ক্রমশ বাড়ছে কাঁচা পাটের দামও। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চটশিল্পের প্রতিনিধিদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়লেন জুট কমিশনার। জুট কমিশনার সুব্রত গুপ্ত জানান, সব চটকল ও চট ব্যবসায়ীকে ১৫ দিন অন্তর নিজেদের মজুদভা-ারের তথ্য তাঁদের কাছে জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনও চালানো হবে। এ ছাড়া, চট ব্যবসায়ীদের তাঁদের কাছে নথিভুক্ত হতেও এ দিন নির্দেশ দিয়েছেন সুব্রত বাবু। চলতি মৌসুমে (২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন) কাঁচাপাটের উৎপাদন ১৫-২০ শতাংশ কমতে পারে বলে আশঙ্কা। চটশিল্পের একাংশের দাবি, ইতোমধ্যেই কাঁচাপাটের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যে কারণে তা বেআইনীভাবে মজুদের অভিযোগও উঠেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সংশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থা এবং শিল্প মহলের সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন জুট কমিশনার। সেখানেই তদন্ত কমিটি গড়ার ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে, কাঁচাপাটের উৎপাদন কম হলে চটের বস্তার বরাত সরবরাহেও সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে।
×