ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৪ শতাধিক মুক্তিকামী নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

৪ শতাধিক মুক্তিকামী নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়

মাজহার মান্না, কিশোরগঞ্জ ॥ আজ ১৩ অক্টোবর। একাত্তরের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত, কাপুরুষোচিত ও নৃশংস নারকীয় হত্যাযজ্ঞটি সংঘটিত হয়েছিল বরইতলায়। এখানে ৪ শতাধিক মুক্তিকামী নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়। নিহতদের ৩৬৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। অন্যদের মধ্যে কেউ কেউ দুঃসময়ের স্মৃতি নিয়ে আহত ও পঙ্গুত্বের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন আজও। কিশোরগঞ্জ শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে নিকলী-কিশোরগঞ্জ সড়কের যশোদলের বরইতলায় পাকহানাদার বাহিনী দেশীয় তাঁবেদারদের সহায়তায় নিরীহ বাঙালীর ওপর হামলা চালায়। স্বাধীনতার পর ওই এলাকাটির নাম রাখা শহীদনগর। মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ির অংশ হওয়ায় পাকহানাদার ও তাদের দোসরদের ওই এলাকা বিশেষ টার্গেট ছিল। ১৩ অক্টোবর একদল পাকসেনা ট্রেনযোগে শহীদনগর এসে তাদের সহযোগীদের সহযোগিতায় দামপাড়া, চিকনীরচর, কালিকাবাড়ি, তিলকনাথপুর ও গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে নিরীহ লোককে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর জন্য জড়ো করে। এরই মাঝে পাকসেনারা স্থানীয় আলবদর ও রাজাকারদের সহায়তায় গ্রামে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় চিকনীরচর গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার আবুল হাসিম খবর দেয় যে, মুক্তিযোদ্ধারা এলাকাবাসীর সহায়তায় একজন পাকসেনাকে মেরে ফেলেছে। এ খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে পাকসৈন্যদের অধিনায়ক জড়ো করা এলাকাবাসীকে হত্যার নির্দেশ দেয়। সঙ্গে সঙ্গে শাবল আর বেয়নটের খোঁচার পাশাপাশি চলে মেশিনগানের ব্রাশফায়ার। লুটিয়ে পড়ে শত শত মানুষ। সে সময় গণহত্যায় নিহতদের ভাগ্যে জোটেনি জীবনের শেষ গোসল। তবে উষ্ণরক্তের ফোয়ারাতে তারা শেষ গোসল করে জীবনের শেষ প্রাপ্তি জানাজা ও কবর জোটেনি অনেকের ভাগ্যে। বরং ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল অজানার উদ্দেশে নরসুন্দা নদীর পানিতে। ১৩ অক্টোবর পাকসেনা ও তাদের দোসরদের অত্যাচারে নিরাপরাধ শান্তিপ্রিয় মানুষ যারা স্বাধীনতার বেদীতে জীবন উৎসর্গ করেছিল তাদের স্মরণে এখানে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। বেদীর ওপর কালো অবয়বে শ্বেতপাথরের ফলকে খোদাই করা আছে উদাত্ত আহ্বান ‘দাঁড়াও পথিক বর, জন্ম যদি তব বঙ্গে তিষ্ঠ ক্ষণকাল-এ সমাধিস্থলে’। শহীদ স্মরণে নির্মিত এ স্তম্ভটির তেমন জৌলুস না থাকলেও জৌলুস এলাকাবাসীর এ কাছে তা মুক্তিযুদ্ধের শ্বাশ্বত চেতনা। হবিগঞ্জে পলাতক আসামি আটক স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক সামাদ রাব্বানী নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি। শনিবার রাত ২টায় হাসপাতালের শৌচাগারের ভেনটিলেটর ভেঙে সে পালিয়ে যায়। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে সামাদকে গ্রেফতার করা হয়। জয়পুরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ১২ অক্টোবর ॥ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে পরিষদের ১২ ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী। সরকারী অর্থ আত্মসাত, অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ এনে তাঁকে অপসারণের দাবিতে ক্ষেতলাল উপজেলা সদরে সোমবার বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচী পালন করা হয়। ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী ম-লের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কথা তুলে ধরেন বক্তারা।
×