ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সঠিক সনদ না থাকায় ৮১ জনের বন্ধ

বাঘায় সাত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

বাঘায় সাত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৮১ মুক্তিযোদ্ধার মাসিক ভাতা এখনও বন্ধ রয়েছে। গতবছর উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার রয়েজ উদ্দীন ও এমদাদুল হক সুন্টুর বিরুদ্ধে জাল সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্মানী ভাতা নেয়ার অভিযোগ উঠলে ৮৮ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়। এদের মধ্যে গত রবিবার সাতজনের ভাতা প্রদানের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার আব্দুল খালেক জানান, জাল সনদের অভিযোগে বাঘা উপজেলার ৮৮ মুক্তিযোদ্ধার সন্মানী ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়। গতবছর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাদল চন্দ্র হালদার নোটিস করে এ সম্মানী ভাতা বন্ধ করে দেন। পরে লিখিতভাবে নোটিসের জবাব ও স্বপক্ষের কাগজপত্র দাখিলের পর ৮৮ জনের মধ্যে সাতজনের ভাতা প্রদানের অনুমতি পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। আব্দুল খালেক আরও বলেন, উপজেলার সাবেক কমান্ডার রয়েজ উদ্দীন ও এমদাদুল হক তারা কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছেন তার কোন প্রমাণ দিতে পারেননি। তারা কোথাও যুদ্ধ করেননি। এমনকি কোথাও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি। তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেই জাতীয় পার্টির সময় প্রভাব খাটিয়ে নাম তালিকাভুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন। তাদের মাধ্যমেই অনেকেই ভুয়া সনদ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তুলছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রয়েজ উদ্দীন বলেন, ভারতের সিলিগুড়ি ট্রেনিং নেয়ার পর নাটোরের লালপুর, বিলমাড়িয়া ও সালামপুর অস্ত্রসহ যুদ্ধ করেছেন। গ্রুপ কমান্ডার ছিলেন, নূরল ইসলাম। ফিডম ফাইটার হিসেবে ভারতের সিরিয়াল নম্বর হচ্ছে ৬০৫০৪২। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিমুল আকতার জানান, উপজেলায় মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩৫০। এদের মধ্যে সনদ সঠিক না থাকার কারণে ৫৭ জনের ভাতা বন্ধ রয়েছে। একজনের গেজেট বাতিল করা হয়েছিল। এছাড়া তথ্যগত ভুলের কারণে ১০ জনের যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই শেষে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন হলে পরবর্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কালের সাক্ষী কদমগাছ কেটে ফেলায় ক্ষোভ স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ কালের সাক্ষী জেলার তানোর উপজেলার তালন্দ এলাকায় দেড়শ’ বছরের একটি কদম গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী। পুরনো এ গাছটি প্রকাশ্যে কেটে নেয়ায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। হতাশও হয়েছেন তারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ তালন্দ এলাকার যুবলীগ নেতা জামাল ও তার চাচাতো ভাই ইকবাল পুরনো কদম গাছটি প্রকাশ্যেই কেটে ফেলেছে। তালন্দ আনন্দ মোহন স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে জানান, কদম গাছটি অনেক পুরনো। একাত্তরে এই গাছে ঝুলিয়ে রাজাকাররা অনেককে নির্যাতন করে মেরেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এ গাছটি কিছু দুষ্ট চক্রের কারণে হারালাম। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, কদম গাছের গোড়া পড়ে আছে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা গাছ কাটার কথা অস্বীকার করে বলেন, গাছটি মরা ছিল। পাশের বাড়ির মানুষদের জীবনের ঝুঁকি হয়ে পড়েছিল। তাই এলাকার মানুষ মিলে তা কেটে ফেলা হয়েছে। যুবলীগ নেতার ভাই ইকবাল গাছটি তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন। অনুমতি ছাড়া সরকারী গাছ কাটা প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটা তাদের ভুল হয়েছে। পুরাতন এই কদম গাছ কাটার ফলে পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
×