ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়ন গতিশীল করতে দারিদ্র্য দূরীকরণের কোন বিকল্প নেই ॥ জিম ইয়ং

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১২ অক্টোবর ২০১৫

উন্নয়ন গতিশীল করতে দারিদ্র্য দূরীকরণের কোন বিকল্প নেই ॥ জিম ইয়ং

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীল করতে দারিদ্র্য দূরীকরণের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান জিম ইয়ং কিম। এর সঙ্গে একমত পোষণ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ বলেছেন, দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি এ বছর বিশ্ব আর্থিক স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর চীন। পেরুর রাজধানী লিমায় অনুষ্ঠিত বিশ্বের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানদের সম্মেলনে এমন কথা বলেন তারা। পুরো বিশ্বের অনুন্নত, উন্নয়নশীল দেশ তো বটেই, উন্নত দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির পথের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা দারিদ্র্য। দারিদ্র্যের হার কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফল হলেও ইউরোপ এখনও দারিদ্র্য আর বেকার সমস্যায় জর্জরিত। একই অবস্থা এশিয়ারও। এ অবস্থায় লিমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ২০১৫ সালে বিশ্বে অতিদারিদ্র্যের সংখ্যা ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৩০-এর মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে শঙ্কার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন পুরো বিশ্বের জন্য বড় একটা হুমকি। বিশ্ব নেতারা যদি কার্বন নিঃসরণ রোধে কঠোর হতে না পারে, তাহলে শীঘ্রই বিশ্বে আরও ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ণতা বেড়ে যাবে। পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে হবে আমাদের।’ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার নিয়ে অনিশ্চয়তা আর চীনের ধীরগতির কারণে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কায় আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ। এ কারণে চলতি বছরের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ বলেন, ‘অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে চীন নতুন কোন পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও নতুন মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে পারে। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি দেশগুলোই এখন স্থিতিশীল নয়। এর নেতিবাচক প্রভাব বৈদেশিক বাণিজ্য, মুদ্রা বিনিময় কিংবা রিজার্ভ, সবখানেই পড়ছে।’
×