এ রহমান মুকুল, পঞ্চগড় ॥ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বুড়ি তিস্তার শাখা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে স্লুইস গেট নির্মাণের কারণে দক্ষিণের সমাজকল্যাণ ফেডারেশন ও মন্দিরের অধিকাংশ জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না নিলে আগামী বর্ষায় কয়েকটি স্থাপনাসহ বাজার নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদীভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ওই নদীর পানি অন্যত্র নেয়ার জন্য পাকা ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
বর্ষার পর নদীতে পানি না থাকায় এই ড্রেন কোন কাজে আসবে না বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি না থাকলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ২০০৫ সালে দেবীগঞ্জের চিলাহাটি ইউনিয়নের শেখবাঁধা বুড়ি তিস্তার শাখা নদীর ওপর স্লুইস গেট নির্মাণ করে। বর্তমানে ওই গেটের ওপর দিয়ে মানুষ ও যান চলাচল ছাড়া অন্য কোন কাজে আসছে না। তাদের দাবি, স্লুইস গেট নির্মাণের সময় ভাটি অংশ সুরক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা আরও জানায়, সারা বছর এখানকার গেট বন্ধ থাকে। বর্ষা মৌসুমে উজানে পানি বেশি হলে গেট খুলে দেয়ার পরই শুরু হয় ব্যাপক ভাঙ্গন।
ইতোমধ্যে গেটের দক্ষিণ পাশের চিলাহাটি ইউনিয়ন সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের ৫৫ শতক জমির মধ্যে ৩৭ শতক জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ফেডারেশনের শষ্য গুদামের অধিকাংশ স্থানে ফাটল ধরায় তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। টয়লেটের নিচের মাটিও সরে যাচ্ছে। যে কোন সময় এটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। ফেডারেশনের দক্ষিণ পার্শ্বের ফুলবাড়ী দুর্গা মন্দিরের ১৮ শতক জমির মধ্যে এখন অবশিষ্ট আছে মাত্র ৫/৬ শতক।