ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোধ হবে চোরাচালান

কক্সবাজার সীমান্তে মাইক্রো সেল

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১২ অক্টোবর ২০১৫

কক্সবাজার সীমান্তে মাইক্রো সেল

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ সরকার অবৈধ পথে মানবপাচার রোধে ও দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল থাকায় মানবপাচার যেমন থমকে গেছে, তদ্রƒপ মিয়ানমার থেকে টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবার চালান রোধেও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। জাতীয় নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, চোরাচালান ও বিভিন্ন সমস্যা রোধে সীমান্তের জিরো লাইন ধরে মোবাইল ফোনের একমুখী নেটওয়ার্ক চালুর সিদ্ধান্ত শীঘ্রই বাস্তবায়ন হতে চলছে। এটি বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি বরাবর মিয়ানমার অভ্যন্তরে চোরাচালানিসহ অপরাধীরা মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক আর পাবে না। এতে করে ইয়াবার বড় বড় চালান জব্দ করার পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলে গঠিত শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করছেন সচেতন মহল। এ ছাড়াও মিয়ানমার সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে জিরো লাইনে যৌথ সার্ভে পরিচালনায় মোবাইল অপারেটরগুলোকে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে সীমান্তে নেটওয়ার্ক নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ক্ষেত্রবিশেষে ‘মাইক্রো সেল’ বসানোর প্রস্তাব সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস। শনিবার টেকনাফে প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ৫ কিলোমিটার বাংলাদেশী মোবাইল নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মিয়ানমারের ম্যাগটেল এবং এমটিসি মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় এনে সীমান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার গুরুত্বারোপ করে মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, সীমান্তের ওপারে বিদ্যমান মোবাইল নেটওয়ার্ক দ্রুত নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিক নন- এমন ব্যক্তিদের সিম বিক্রি বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে বিশেষ করে কক্সবাজার অঞ্চলের জন্য ব্যবসায়ী মনোবৃত্তি পরিহার করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। এতে সীমান্তে নেটওয়ার্ক নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সাম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান। টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনও শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিজিবি ৪২ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ, টেকনাফ মডেল থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার, বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর প্রতিনিধি, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×