ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব অর্থনীতির টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ১১ অক্টোবর ২০১৫

বিশ্ব অর্থনীতির টুকরো খবর

বাড়ছে স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। স্বর্ণের দাম বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা হ্রাস পাওয়ায় ভূমিকা রেখেছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। একদিকে দেশটিতে গত মাসে কর্মসংস্থান হয়েছে এক লাখ বিয়াল্লিশ হাজার কর্মীর অন্যদিকে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার আরও দেরিতে বৃদ্ধি করবে এমন খবর চাউর হওয়ায় বেড়ে গেছে স্বর্ণের দাম। এ দাম বৃদ্ধি এ বছরের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। গত মাসেও যেখানে স্বর্ণের দাম আউন্স প্রতি এগার শ’ ডলারের মতো ছিল, তা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে এগার শ’ ডলার হয়েছে। এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম এ বছরের শেষ নাগাদ বারো শ’ ডলার এবং ২০১৬ সাল শেষে স্বর্ণের দাম চৌদ্দ শ’ ডলারে গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ঠেকাও কর্পোরেট কর ফাঁকি বিশ্বজুড়ে কর্পোরেট কর ফাঁকি দেয়ার জন্য হাজারো ফন্দি ফিকির করে থাকে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এবং এ ফাঁকির কারণে বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোকে প্রতিবছর কমপক্ষে দশ হাজার কোটি ডলার এবং সর্বোচ্চ চব্বিশ হাজার কোটি ডলার আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়। কর্পোরেট করের চার থেকে দশ শতাংশই ফাঁকিতে পড়ে যায়। বিভিন্ন আইনের ফাঁকফোকর, পারস্পরিক আওতার প্রসার, বিভিন্ন দেশের আইনে সমন্বয়ের অনুপস্থিতি, বৈশ্বিক বাণিজ্য আবহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের সংশোধন ও সংস্কার না হওয়া কর ফাঁকির জন্য মূলত দায়ী। কর ফাঁকি ঠেকাতে নতুন দাওয়াই দিয়েছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো যে দেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে, সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী কর দিলে ফাঁকি দেয়া কিছুটা হলেও ঠেকানো যাবে বলে সংস্থাটির অভিমত। স্বাক্ষরিত হলো টিপিপি চুক্তি অবশেষে স্বাক্ষরিত হলো ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তি (টিপিপি)। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, কানাডা, চিলি, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম এই বারোটি দেশ এ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিটি সম্পন্ন করেছে। টিপিপি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো বিশ্ব বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। গত পাঁচ বছর ধরে দফায় দফায় আলোচনায় বসেছিল এই বারোটি দেশ। কিন্তু ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি। অবশেষে সেই ঐকমত্যের দেখা মিলল যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায়। এখানে পাঁচদিনের টানা আলোচনা ও দরকষাকষি শেষে স্বাক্ষরিত হলো বহুল প্রতিক্ষীত চুক্তিটি। এ চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে বারোটি রাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে এনে একটি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করবে, তাছাড়া দুগ্ধজাত পণ্য থেকে শুরু করে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের বাণিজ্যিক পণ্যেই এই চুক্তির প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির গতি ধীর বিশ্ব অর্থনীতির গতি বেজায় শ্লথ। ২০০৯ সালের বিশ্বমন্দা কাটিয়ে ওঠার পর বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল। ধীরে হলেও কাটিয়ে উঠেছিল মন্দা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর শ্লথ গতি বিশ্ব অর্থনীতির গতিকে শ্লথ করে দিয়েছে। বিগত ছয় বছরের মধ্যে এবারই বিশ্ব অর্থনীতি সবচেয়ে দুর্বলগতিতে এগোবে, এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে মনে করছে। যদিও আগের পূর্বাভাস ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। পূর্বাভাস দশমিক দুই শতাংশ কমানোর কারণ চীনসহ উদীয়মান দেশগুলোর অর্থনৈতিক মন্দা ও ভোগ্যপণ্যের কম দাম। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোজোনের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে যে মন্দার হাওয়া লেগেছে, তাই বিশ্ব অর্থনীতির গতিকে শ্লথ করে দিচ্ছে। অর্থনীতি ডেস্ক
×