ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মীনা দিবসের আলোচনা সভা

শিক্ষা ছাড়াও ঘুষ দুর্নীতি নিয়েও মীনা চরিত্র সৃষ্টি করা যেতে পারে

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ১১ অক্টোবর ২০১৫

শিক্ষা ছাড়াও ঘুষ দুর্নীতি নিয়েও মীনা চরিত্র সৃষ্টি করা যেতে পারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মীনা দিবসের আলোচনায় শিক্ষা ছাড়াও মাদক, ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়েও মীনার মতো চরিত্র সৃষ্টির আহ্বান জানালেন বক্তারা। শনিবার রাজধানীতে ‘মীনা দিবস-২০১৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা বলেছেন, শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে মীনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শিশুশিক্ষার প্রসার, বাল্যবিয়ে ও জেন্ডার বৈষম্য রোধেই নয়, সমাজের সকল স্তরে মীনা চরিত্র দরকার। শিক্ষা ছাড়াও মাদক, ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে মীনার মতো চরিত্র সৃষ্টি করতে হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল জলিল, ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবিদার প্রমুখ। ইউনিসেফের উদ্যোগে হান্না বারবারা এবং ভারতের রামমোহন স্টুডিওর যৌথ সহযোগিতায় ১৯৯১ সালে কার্টুন চরিত্র হিসেবে মীনা আত্মপ্রকাশ করে। এর প্রধাান চরিত্র শিশু মীনা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশে নারী শিক্ষার প্রসারে সচেতনতা গড়ে তোলাই এ কার্টুনের লক্ষ্য। ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতিবছর মীনা দিবস পালিত হয়ে আসছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং বাল্যবিয়ে, পরিবারে অসম খাদ্য বণ্টন, শিশুশ্রম, যৌতুক প্রতিরোধের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ১৩টি মীনা এ্যানিমেশন ফিল্ম নির্মাণ করা হয়েছে। শিশু শিক্ষার প্রসার ও বাল্যবিয়ে রোধে প্রতিবছর ২৪ সেপ্টেম্বর ‘মীনা দিবস’ পালন করা হয়। তবে এবার ঈদ-উল-আযহার ছুটি থাকায় শনিবার বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হলো। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘কন্যাশিশু বিয়ে দিয়ে করো নাকো ভুল, প্রত্যেকটি শিশু যেন এক একটি ফুল।’ আলোচনা শেষে মীনা দিবস নিয়ে কেরানীগঞ্জের শিশুরা অন্তর মল্লিকের নেতৃত্বে জারি গান, মতিঝিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তাসনিয়া রহমানের নেতৃত্বে অটিজম বিষয়ে নাটিকা, ধামরাইয়ের পাঠানতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাল্যবিয়ে নিয়ে গম্ভীরা, মাপেট শো ও পাপেট শো পরিবেশন করেন। গ্র্যাজুয়েটদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন জরুরী ॥ পেশাগত এবং বাস্তব জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য গ্র্যাজুয়েটদের গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন খুবই জরুরী। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গ্র্যাজুয়েটদের নিয়মিত জ্ঞান এবং দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে তাদের গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) ‘উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ : অস্ট্রেলিয়ান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মোহাব্বত খান। বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশনের অধ্যাপক ড. সিলভানিস ফিলিপসন, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা, কোয়ালিটি এ্যাস্যুরেন্স ইউনিটের প্রধান ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ এবং ইউজিসি সচিব ড. মোঃ খালেদ।
×