ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গোড়াই-সখীপুর সড়ক

৩৫ কোটি টাকা ব্যয়েও চলাচল অনুপযোগী

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১১ অক্টোবর ২০১৫

৩৫ কোটি টাকা ব্যয়েও চলাচল অনুপযোগী

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ১০ অক্টোবর ॥ মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই-সখীপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কটি ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ করা হলেও চরম বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংস্কারের অভাবে সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ। এতে চালকরা ঝুঁকি নিয়ে চালাচ্ছেন যানবাহন। মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ উপ-বিভাগ সূত্রমতে, সড়কটি উন্নয়নের জন্য গোড়াই-সখীপুর সড়ক উন্নয়নের জন্য প্রকল্পের আওতায় ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কাজ শুরু হয়। ধাপে ধাপে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে এর কাজ শেষ হয়। তবে দীর্ঘ সাত বছর ধরে সড়কটি উন্নয়ন কাজ করা হলেও সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গোড়াই-সখীপুর রাস্তাটি এখন ধুলা ও লাল কাদার রাস্তায় পরিণত হয়েছে। সূত্রটি জানান, ১৫ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ওই রাস্তাটিতে শুকনো মৌসুম ছাড়াও বৃষ্টির মধ্যেও পাথর মাটি রড ও কাঠবোঝাই ৩০ টনের উপরে ট্রাক চলাচল করে। এতে ট্রাকের চাকার ঘর্ষণে রাস্তার ইট-পাথর উঠে বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ওই সড়কটির বেহাল অবস্থা। রাস্তার শুরু গোড়াই থেকেই রয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ। চালকরা ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাচ্ছেন। বড় বড় গর্তের কারণে চলাচলকারী যানবাহনগুলো দুল খাচ্ছে। এছাড়া রোদ ও বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি পাহাড়ী লাল মাটির ধুলা ও কাদায় একাকার হয়ে গেছে। মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম খান জানান, মাত্র ১৫ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ওই রাস্তায় পাথর, মাটি ও রডবোঝাই ট্রাকসহ ৩০ টনের ওপরে যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কটির অনেক স্থানে ভেঙ্গে গেছে। ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাছাড়া সড়কটি সংস্কারের জন্য বিভাগীয়ভাবে কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাজশাহীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নূরে আলম খোকন (৬৫) নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। খোকন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মুনছুর আলী ম-লের ছেলে। শনিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহাদত হোসেন জানান, নওগাঁ জেলা কারাগার থেকে কিছুদিন আগে নূরে আলম খোকনকে রাজশাহী কারাগারে আনা হয়। এরপর গত ৩ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকেলে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে তিনি মারা যান।
×