ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্যান্সার প্রতিরোধে হাতির জিন!

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১১ অক্টোবর ২০১৫

ক্যান্সার প্রতিরোধে হাতির জিন!

হাতিদের ক্যান্সার হয় না বললেই চলে। বিজ্ঞানীদের কাছে এটা এক বিস্ময় যে, হাতি বনে থাকে এবং তারা মানুষের মতো স্বাস্থ্য সচেতন নয়। অথচ তাদের ক্যান্সার হয় না। হাতির দেহে মানুষের ক্যান্সার প্রতিরোধের কোন উপায় রয়েছে কিনা, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে গবেষণা এগিয়ে নিতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব উটাহ-এর পেডিয়াট্রিক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ড. জোশুয়া শিফম্যান জানান, মানুষের কোষের সঙ্গে হাতির কোষ তুলনা করা হয়েছে। দেখা গেছে, এই বিশাল প্রাণীর কোষে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এমন জিনের বাড়তি ২০টি কপি রয়েছে। এই জিনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে মেরামত করে। এমনকি ক্যান্সার ঘটায় এমন উপাদানের উপস্থিতি টের পেলে সম্ভাব্য কোষগুলোকে মেরে ফেলে এই জিন। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, বড় আকারের প্রাণীদের ক্যান্সার খুব কম হতে দেখা যায়। মানুষ বা ছোট আকারের প্রাণীদের মধ্যে ক্যান্সার ছড়ায় বেশি। পি৫৩ জিনের বাড়তি উপস্থিতির কারণে ক্যান্সার প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়। মানুষের জন্মের পর তার দেহে পি৫৩ জিন পরিপূর্ণতা পায় না একটি বিশেষ কারণে। এ অবস্থার নাম লি-ফ্রমেনি সিনড্রোম। এতে ক্যানসার আক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তবে এই বাড়তি পি৫৩ জিন যে হাতিকে ক্যান্সার প্রতিরোধী বানিয়ে দিয়েছে তা বল যায় না। তবে ক্যান্সারকে দূরে রাখতে এরা শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। শিফম্যান এবং তার সহকর্মী গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, হাতির কোষ রেডিয়েশনের ক্ষেত্রে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়। মানুষের কোষের প্রতিক্রিয়াও পরীক্ষা করা হয়। যে সকল কোষ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করে। এই হার মানুষের কোষ অপেক্ষা হাতির কোষে দ্বিগুণ। মানুষের কোষ এ বৈশিষ্ট্য তেমনটা ধারণ করে না বিধায় ওই কোষগুলোতেই ক্যান্সার দানা বাঁধে। সূত্র : ওয়েবসাইট
×