ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে জিঙ্কসমৃদ্ধ ব্রি ৬২ ধানে কৃষকের হাসি

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১০ অক্টোবর ২০১৫

পঞ্চগড়ে জিঙ্কসমৃদ্ধ ব্রি ৬২ ধানে কৃষকের হাসি

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের অনেক নারী ও শিশু জিঙ্কের অভাবজনিত অপুষ্টিতে ভুগছে। এতে ১৫-১৯ বছর বয়সের শতকরা ৪৪ ভাগ মেয়েরা জিঙ্কের অভাবজনিত কারণে খাটো হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত। তাই ভাতের মাধ্যমে জিঙ্ক সংযোজনের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট নিয়ে এসেছে স্বল্পমেয়াদী জিংক ব্রি ধান ৬২। মাত্র এক শ’ দিনের মধ্যে কৃষকরা এই ধান ঘরে তুলতে পারে। এই জাতের ধানের চালের আকার লম্বা, সরু ও সাদা হওয়ায় খেতে যেমন বেশ সুস্বাদু তেমনি জিঙ্কের অভাব পূরণ হয়। সাধারণ আমন ধানের চেয়ে এই ধান অনেক আগে কর্তন করায় ওই জমিতে আলু, সরিষাসহ শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আবাদ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হন। পঞ্চগড় জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২শ’ ৫০ বিঘা জমিতে এই জাতের ধান চাষ হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং হারভেস্ট প্লাস নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে এক শ’ ২৫ বিঘা ও বেসরকারী সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশের মাধ্যমে এক শ’ ২৫ বিঘা জমিতে এই জাতের ধান আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে এই জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। অন্যান্য জাতের আমন ধানের চেয়ে এই ধানে ফলনও আসছে বেশ ভাল। অন্যান্য জাতের আমন ধান যেখানে ফলন আসে ১২-১৫ মণ সেখানে জিঙ্ক ব্রি ধান ৬২ আবাদ করে কৃষকরা প্রতি বিঘায় ফলন পাচ্ছেন ১৫-২০ মণ। বেসরকারী সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশের সহযোগিতায় জিঙ্ক ব্রি ধান ৬২ চাষ করে পঞ্চগড়ের অনেক কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এমনও একজন সফল চাষী আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের চামেশ্বরী গ্রামের তপু পদ রায় বলেন, এবার আমি চলতি আমন মৌসুমে এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে জিঙ্ক ব্রি ধান ৬২ চাষ করেছি। ইতোমধ্যে এই ধান কর্তন করা হয়েছে। তিনি জানান, কাটার পর তিনি ২০ মণ ধান পেয়েছেন।
×