ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অভিবাসী বহিষ্কারে কঠোর হচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা

অবৈধ শরণার্থীদের আফ্রিকায় স্থানান্তর করবে ইইউ

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১০ অক্টোবর ২০১৫

অবৈধ শরণার্থীদের আফ্রিকায় স্থানান্তর করবে ইইউ

যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপে আশ্রয় পেতে ব্যর্থ হবে এবং তাদের নিজ দেশও তাদের প্রত্যাখ্যান করবে, তাদের আফ্রিকায় ও অন্যত্র নতুন অভিবাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা এ জন্য একটি পরিকল্পনা খতিয়ে দেখছেন। ইইউ দেশগুলোর সরকার বৃহস্পতিবার এ অবৈধ অভিবাসীদের স্থানান্তরকরণ ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছে এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে লাখ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়ে পড়ায় যে সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে ইইউয়ের একটি সীমান্ত বাহিনী গঠনের জন্য আলোচনা করছে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইন ও ইয়াহুনিউজের। যেসব অর্থনৈতিক অভিবাসীর ইউরোপে থাকার অধিকার নেই বলে বিবেচিত হবে এবং তাদের নিজ দেশ তাদের অভিবাসন কাগজপত্র প্রত্যাখ্যান করবে তাদের ইইউ প্রস্তাবিত পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ‘আঞ্চলিক কেন্দ্রে’ বসবাস করার জন্য পাঠানো হবে। লুক্সেমবার্গে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ বৈঠকে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা যে পরিকল্পনাগুলোর প্রতি সমর্থন দেয়ার পর সেগুলো পর্যালোচনার জন্য ইইউ দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা সম্মত হয়েছেন। ইইউ মন্ত্রীরা এ অভিবাসী সঙ্কট উত্তরণে এক কঠিন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছেন। তারা কয়েক হাজার অর্থনৈতিক অভিবাসীকে অন্যত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ সকল অভিবাসী প্রকৃত শরণার্থীদের সঙ্গে ইউরোপে প্রবেশ করে। অন্য অবৈধ অভিবাসীরা যাতে নিখোঁজ না হতে পারে বা পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তাদেরও আটকে রাখতে এবং বর্তমান আটক কেন্দ্রগুলোর পরিধি সম্প্রসারণে একমত হয়েছেন মন্ত্রীরা। অবৈধ অভিবাসীদের ফলপ্রসূ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে অবশ্যই সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ইইউ ফ্রনটেক্স র‌্যাপিড রিটার্ন ইন্টারভেনশন টিম নামে সীমান্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বহুজাতিক টিমও গঠন করবে। জাতীয় সরকারগুলো যখন বিষয়টা পেরে ওঠবে না এ টিমগুলো তখন অবৈধ অভিসাসীদের অন্যত্র পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু এবং সম্পন্ন করবে। পরিকল্পনা অনুসারে যে সকল এশীয় ও আফ্রিকান দেশ অভিবাসীদের গ্রহণ করবে না তাদের বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। যেসব দেশ পরিকল্পনার প্রতি কোন সহযোগিতা প্রদান করবে না সে সব দেশের জন্য ভিসা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। ১০ অভিবাসীর মধ্যে ৪ জনেরই ইউরোপে আশ্রয় নেয়ার অধিকার নেই। শীর্ষ সম্মেলনে মিসেস মে বলেন, যুক্তরাজ্য সর্বসময় যুক্তি দেখাচ্ছে যে, অর্থনৈতিক অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো উচিত আমাদের। কারণ, যারা আমাদের আশ্রয় ব্যবস্থার অপব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর প্রয়োজন রয়েছে আমাদের। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডি মেইজিয়ারি বলেন, ফিরে যাওয়া সবসময়ই কঠিন ব্যাপার। ইউরোপের উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে অভিবাসীদের নৈরাজ্যিক প্রবেশের কারণে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে জোর দিয়ে জার্মান রাজ্য ক্যাভারিয়া সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছে, অভিবাসীদের ব্যাপারে বার্লিনের নীতির প্রতি তাদের সমর্থন থাকবে না এবং আলপাইন সীমান্ত পথে যে অভিবাসীরা প্রবেশ করেছে তাদের অস্ট্রিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে। অন্যদিকে, চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল জোর দিয়ে বলছেন, তিনি সীমান্ত পথ বন্ধ করবেন না।
×