ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এগিয়ে যাচ্ছে গার্মেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১০ অক্টোবর ২০১৫

এগিয়ে যাচ্ছে গার্মেন্ট

এম শাহজাহান ॥ সকল বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি স্থগিত, ক্রেতাজোট এ্যাকোর্ড-এ্যালায়েন্সের অব্যাহত চাপ, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র, শ্রমিক সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা, বিশ্ব মিডিয়ায় নেতিবাচক সংবাদ প্রচার ও বাংলাদেশ এ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের মতো চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে ঘুরছে গার্মেন্টস শিল্পের চাকা। বছরে রফতানি হচ্ছে ২৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক যা মোট রফতানির ৮৩ ভাগ। এ শিল্পে সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিয়েছে নতুন বাজার। ইতোমধ্যে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ সামনে রেখে ১০-১৫ শতাংশ পর্যন্ত পোশাকের অর্ডার বেড়েছে। বড় দিনের আনন্দ বাড়িয়ে দিবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড খ্যাত পোশাক। বিশ্ব বাজারে চাহিদা বাড়ায় আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের তৈরি পোশাক ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। একই সঙ্গে ভিশন-২১, সামনে রেখে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি বাণিজ্যের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণ করবে গার্মেন্টস খাত। এ লক্ষ্যে বিজিএমইএ’র উদ্যোগে বাটেক্সপো ফেয়ারে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশী ক্রেতাদের আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। জানা গেছে, পোশাক রফতানি বাড়াতে যে রোডম্যাপ ইতোপূর্বে প্রণীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে সরকার। সকল প্রতিকূলতা এড়িয়ে গার্মেন্টস পণ্য রফতানিতে প্রথম হতে চায় বাংলাদেশ। রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি বা শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা স্থগিত করলেও এর কোন নেতিবাচক প্রভাব নেই গার্মেন্টস খাতে। এ খাতের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হলে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, বর্তমানে সারা বিশ্বে ৪৫ হাজার কোটি ডলারের বাজার রয়েছে তৈরি পোশাকের। এর মধ্যে বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র ৫ শতাংশ। এটি ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে পারলেই লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। পোশাক রফতানিতে নতুন রেকর্ড অর্জিত হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই রোডম্যাপের আওতায় মুন্সীগঞ্জে দেশে প্রথমবারের মতো গড়ে তোলা হচ্ছে গার্মেন্টস পল্লী। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরের কাছে এ ধরনের পল্লী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়া পোশাক শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এতে জাপান, চীন, কোরিয়া এবং ভারতের বহু বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসার সুযোগ পাবে। শুধু তাই নয়, প্রণীত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে তৈরি পোশাক খাতে শ্রম কল্যাণ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সোস্যাল কমপ্লায়েন্স ফোরাম ফর আরএমজি গঠন করেছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই সুবিধা ধরে রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ্যাকশন প্লানের ১৬টি শর্ত পূরণ করতে সমর্থ্য হয়েছে বাংলাদেশ। তৈরি পোশাক শিল্পে সাব-কন্ট্রাকটিং ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা প্রণয়ন, শ্রম আইন সংশোধন করে বিধিমালা প্রণয়ন এবং এ খাতের শ্রমিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এদিকে, বড় দিন সামনে রেখে চাঙ্গা দেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ নতুন দেশগুলোতে ১০-১৫ শতাংশ রফতানি আদেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের বড়দিনের মার্কেট ধরতে পোশাকের শিপমেন্ট পেতে তাগাদা দিচ্ছে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এজন্য আগামী নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরোদমে শিপমেন্ট কার্যক্রম শুরু হবে। নানামুখী কারণে এ শিল্পে যে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছিল তা কেটে যাচ্ছে। রফতানি আদেশ বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাক শিল্পের সুদিন আবার ফিরে আসছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুস সালাম মুর্শেদী জনকণ্ঠকে বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব বড়দিন সামনে রেখে তৈরি পোশাক শিল্পখাতের রফতানি আদেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের প্রথম মাসে শিল্পের প্রবৃদ্ধি নেগেটিভ ধারায় থাকলেও এখন তা ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। সর্বশেষ গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত। তিনি বলেন, বছরের এ সময়টাতে অর্ডার বাড়ে। বড়দিন সামনে রেখে কোন কোন কারখানায় ১০-১৫ শতাংশ রফতানি আদেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় দিন একদিনের উৎসব হলেও চলে কিন্তু কয়েক মাস ধরে। ফলে কেনাকাটাও শুরু হবে নবেম্বরের প্রথম দিক থেকে। তিনি বলেন, রফতানি আদেশ বাড়লেও আশঙ্কার কথা হচ্ছে, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিতে আমাদের সক্ষমতা কমে আসছে। এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিদ্যুত ও জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করা। জানা গেছে, গত সাত বছরে পোশাক শিল্পে নতুন রেকর্ড অর্জন করেছে বাংলাদেশ। নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বে¡ও ওই সময়ে পোশাক রফতানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিয়েছে নতুন বাজার। প্রচলিত মার্কেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নতুন বাজারে গার্মেন্টস রফতানি। এসব বাজারে এখন প্রতিবছর রফতানি বাড়ছে শতকোটি ডলার। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে নতুন বাজারে গার্মেন্টস রফতানি বেড়েছে ৩৯৭ কোটি ৫৬ লাখ ডলারেরও বেশি। গত ২০১২-১৩ অর্থবছর অপ্রচলিত বা নতুন বাজারে যেখানে রফতানি হয়েছিল ২ হাজার ১৫১ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ডলারের, সেখানে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানি হয়েছে ২ হাজার ৫৪৯ কোটি ১৪ লাখ ডলারের। নতুন বাজারে রফতানির এই প্রবৃদ্ধিকে দেশের পোশাক শিল্পের জন্য খুবই ইতিবাচক বলে মনে করছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। শুধু তাই নয়, নতুন বাজারের প্রতি রফতানিকারকদের আকৃষ্ট করতে সরকার রফতানির ওপর ৩ শতাংশ প্রণোদনারও ব্যবস্থা করেছে। সরকারের এ পদক্ষেপে উদ্যোক্তারাও নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। সেইসঙ্গে নতুন বাজারগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদরও রয়েছে। এসব কারণেই মূলত নতুন বাজারগুলোতে পোশাক রফতানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। নতুন বাজারগুলোর মধ্যে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় চীনে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪২ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়ায় ২০ দশমিক ০৮ শতাংশ। এ ছাড়া ভারতে ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, জাপানে ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ৮ দশমিক ২১ শতাংশ, ব্রাজিলে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মেক্সিকোতে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তর এবং রূপকল্প বাস্তবায়নে রফতানি বাণিজ্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ওই সময়ের মধ্যে শুধু পোশাক শিল্পে আরও ৩০ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির একটি উদ্যোগ রয়েছে। বর্তমানে এ শিল্পে ৪০ লাখ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এছাড়া পোশাক শিল্পে প্রতিবছর গড়ে ১৫-২০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ২০ বছর নাগাদ এ শিল্পের গ্রোথ এ হারেই বাড়বে। এই গ্রোথ ধরে রাখার জন্য গার্মেন্টস পল্লী স্থাপনসহ অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি জনকণ্ঠকে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনা, তাজরীনে ভয়াবহ অগ্নিকা- এবং যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি স্থগিত হওয়ার পর এ শিল্পখাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও রফতানি প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। সব ধরনের বাধাবিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্পখাত। তিনি বলেন, ঢাকার ওপর চাপ কমাতে মুন্সীগঞ্জের বাউশিয়ায় একটি গার্মেন্টস শিল্পপার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এভাবে পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি শিল্পপার্ক করা হবে। তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ এক নম্বর হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কিন্তু নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও কমপ্লায়েন্ট কারখানা নিয়ে এখনও ক্রেতাদের চাপ রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের শিল্পপার্ক তৈরি করা গেলে শতভাগ কমপ্লায়েন্ট কারখানা তৈরি হবে। দেশের পোশাক রফতানি বাড়বে। এজন্য এ ধরনের শিল্পপার্ক আরও তৈরি করবে সরকার। এদিকে, পোশাক খাত উন্নয়নে ইতোমধ্যে গার্মেন্টস খাতের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমইএ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে সরকারের কাছে। এর মধ্যে ভাড়া ব্যবস্থায় পরিচালিত কারখানাগুলো দ্রুত স্থানান্তর ও সেগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সুবিধা চেয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা। একইসঙ্গে এ খাতে বিদ্যমান উৎসে কর পাঁচ বছরের জন্য বহাল রাখা, শুল্ক সংক্রান্ত, আয়কর, মূসক, নগদ সহায়তা, ব্যাক সুদ ৫-৬ শতাংশে নামিয়ে আনা, ইটিপি স্থাপনে ৩ শতাংশ সুদ নির্ধারণ, মানব সম্পদ উন্নয়নে শ্রমঘন অঞ্চলগুলোতে জোন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বিদেশী ক্রেতা আকর্ষণে আগামী ডিসেম্বর মাসে শুরু হচ্ছে পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী বাংলাদেশ এ্যাপারেল এ্যান্ড টেক্সটাইল এক্সপোজিশন (বাটেক্সপো)। এবারের বাটেক্সপো থেকে কমপক্ষে ১ থেকে দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার স্পট অর্ডার পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এজন্য বিদেশী বায়ারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে বিজিএমইএ। আশা করা হচ্ছে, বিজিএমইএ’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাটেক্সপোর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের রফতানি আয়ে নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হবে। শুধু তাই নয়, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল বাজারের বাইরেও ল্যাটিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশের ক্রেতারা আসবেন। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র বিদায়ী সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, নানা চ্যালেঞ্জের মুখেও পোশাক শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার এবং এ শিল্পের উদ্যোক্তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় ভিশন-২১ সামনে রেখে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় নতুন বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দামও বাড়াতে হবে। এছাড়া নীতিগত সহায়তাও বাড়ানো প্রয়োজন।
×