ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভিত্তিহীন দাবি নিয়ে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের আন্দোলন হচ্ছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৯ অক্টোবর ২০১৫

ভিত্তিহীন দাবি নিয়ে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের আন্দোলন হচ্ছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারকে বিব্র্রত করার জন্যই ভিত্তিহীন দাবি নিয়ে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের আন্দোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান বলছে সবচাইতে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরাই সরকারী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তাদের অনেকেই কৃষক বা স্কুল শিক্ষকের সন্তান। কেউ পিতৃহীন, ঢাকায় মেসে থেকে পড়াশোনা করেছে। এদের অধিকাংশই দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা। যারা আন্দোলন করছে তারা দেশের দরিদ্র ও মেধাবীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। পরীক্ষা ভাল না দিয়ে পাস করার সুযোগ নেই। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের কথা শোনারও সুযোগ নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দেশের সরকারী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বেসরকারী বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য হাজি মোঃ সেলিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নুরুল হক, বিএমএ’র মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল আর্সনালসহ দেশের সকল সরকারী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের পরিচালকরা বক্তব্য রাখেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, রাজপথে আন্দোলন করে কোন অযৌক্তিক দাবি আদায় করা যায় না। তিনি বলেন, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও সরবরাহ প্রক্রিয়ার কোন ত্রুটি আছে কিনা তা দেখতে আমি নিজে স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়েছি। প্রক্রিয়ার প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আমি ধারণা নিয়েছি। এ প্রক্রিয়ায় কোনভাবে একটি প্রশ্নপত্রও বাইরে যাবার সুয়োগ নেই। পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, কলেজ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন এমনকি প্রশ্নের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ প্রশাসন থেকে এ যাবত কোন অভিযোগ কখনই ওঠেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার দিন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। সেখানে অবস্থানরত কয়েক শ’ অভিভাবক এবং সাংবাদিকের সঙ্গে প্রায় একঘণ্টা ধরে কথা বলেছি। তখনও কেউ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে আমার কাছে ন্যূনতম কোন অভিযোগ করেনি।
×