ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেন এরা দেশকে আইএস কবলিত বলার চেষ্টা করছে- স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৮ অক্টোবর ২০১৫

কেন এরা দেশকে আইএস কবলিত বলার চেষ্টা করছে-  স্বদেশ রায়

১৭ আগস্ট ব্যাংককে জঙ্গীরা বড় ধরনের একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই বোমা বিস্ফোরণে ১৯ জন মারা যান এবং ১২৫ জন আহত হন। ১৯ জনের ভিতর মাত্র ছয় জন ছিলেন থাইল্যান্ডের নাগরিক। বাকি ১৩ জনই বিদেশী নাগরিক। যার ভিতর ছয় জন চাইনিজ, পাঁচ জন মালয়েশিয়ান, এক জন সিঙ্গাপুরিয়ান ও এক জন ইন্দোনেশিয়ান। এক ঘটনায় ১৩ জন বিদেশী নাগরিক মারা যাবার পরেও থাইল্যান্ডে বিদেশীদের চলাচল নিয়ে খুব কোন উদ্বেগ দেখা যায়নি। ওই সময়ে থাই মিডিয়া লক্ষ্য করেও দেখা যায় মিডিয়া এমন কোন রব ওঠায়নি যে, এই ঘটনার পর থাইল্যান্ডে বিদেশীদের চলাচল যথেষ্ট নিরাপদ নয়। কোনরূপ কোন প্যানিক সৃষ্টি হয় এমন কোন নিউজ বা বিশ্লেষণ অন্তত থাই মূল ধারার মিডিয়ায় দেখা যায়নি। বরং থাইল্যান্ডের গোয়েন্দা বাহিনী অত্যন্ত ঠা-া মাথায় বিষয়টি ডিল করে। যার ফলে দেখা যায়, ঘটনার মূল নায়ক যে বাংলাদেশে এসেছিল তা তারা দ্রুত বাংলাদেশকে জানাতে পারে। বাংলাদেশও দ্রুত জানাতে সক্ষম হয় সে ব্যক্তি ৩০ আগস্ট তুরস্কে চলে গেছে। অন্যদিকে তার দুই দিন পরেই ব্যাংকক বোমা হামলার সন্দেহভাজন তিন জন গ্রেফতার হয় মালয়েশিয়াতে। বাংলাদেশে ২৮ সেপ্টেম্বর একজন ইতালীয় নাগরিক খুন হয়েছেন। তার পাঁচ দিন পরে ৩ অক্টোবর একজন জাপানী নাগরিক খুন হয়েছেন। থাইল্যান্ডের ঘটনার তুলনায় বাংলাদেশের ঘটনা অত ব্যাপক নয়। তারপরেও বাংলাদেশের এই ঘটনা নিয়ে দেশে ও বিদেশে একটি ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া ঘটানোর চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। প্রথম যে প্রচেষ্টা দেখা গেল তা হলো দেশে ও দেশের বাইরে অনেকে এই দুটো হত্যাকা-ের ভিতর দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করল বাংলাদেশে আইএস শক্ত ঘাঁটি তৈরি করেছে। যার ফলে প্রথম প্রতিক্রিয়া দেখা গেল বিদেশী গার্মেন্টস বায়ারদের একটি দল তাদের বাংলাদেশে আসার দিন পিছিয়ে দিল নিরাপত্তার অজুহাতে। যে কোন পরিকল্পিত সন্ত্রাসী ঘটনা যখন কোন দেশে ঘটে তখন সব থেকে প্রয়োজন খুবই ঠা-া মাথায় ঘটনা সম্পর্কে রিএ্যাক্ট করা ও ঘটনার উদ্দেশ্য বিচার করা। বাংলাদেশের ঘটনা দুটোর পর পরই সার্চ ফর ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিস্ট এনটিটিস (এসআইটিই) নির্বাহী রিটা কার্টজ তার টুইট বার্তায় জানান, ঘটনা আইএস ঘটিয়েছে। টেরোরিজম ও কাউন্টার টেরোরিজম নিয়ে যারা ন্যূনতম পড়াশোনা করেন তারা তরুণী রিটা কার্টজের যোগ্যতা ও তার প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে খুব বেশি প্রশ্ন তুলবেন না। রিটা কার্টজ যা বলেন তা দায়িত্ব নিয়েই বলেন বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু তারপরেও সত্য হলো, রিটা কার্টজ বাংলাদেশের ঘটনার তথ্য পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু বিশ্লেষণে ভুল করেছেন। এই ভুলটি বাংলাদেশ সম্পর্কে পশ্চিমারা করছেন। এমনকি এশিয়ারও অনেক দেশ করছে। বাংলাদেশের অনেক বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বললে অনেক সময় মনে হয় তারা একটি সোনার পাথর বাটি হাতে নিয়ে চলছেন। অর্থাৎ যখন কোন পেট্রোলবোমা বা গ্রেনেড সন্ত্রাস বা চাপাতি দ্বারা হত্যার দায়ে কোন বিএনপি বা জামায়াত কর্মী ধরা পড়ছে ওই বিদেশী কূটনীতিকরা তাদের বলছেন, মুসলিম মিলিট্যান্ট বা টেরোরিস্ট। তাদের বিএনপি বা জামায়াত বলছেন না। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতকে তাঁরা বলছেন নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। রিটা কার্টজও একই ভুল করেছেন। তিনি তথ্য পেয়েছেন ঠিকই তাঁর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। কিন্তু তিনি কাজের ধরন ও অন্যান্য বিচারে এদের আইএস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাছাড়া বাংলাদেশের বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা যত সন্ত্রাস করে তার সবটুকুই নিয়ন্ত্রিত হয় পাকিস্তানী আইএসআই-এর দ্বারা। আইএসআই-এর সঙ্গে যেহেতু আইএস, তালেবান, বোকোহারাম সকলের গাঁটছড়া বাঁধা। তাই তথ্য এনালিসিসে রিটার প্রতিষ্ঠানের এ ভুল করা স্বাভাবিক। তাছাড়া তাদের মাথায় এটা আসার কথা নয় যে, কোন দেশের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত কোন রাজনৈতিক দল এ ধরনের জঙ্গী কাজ করবে। বাংলাদেশে যতদিন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকবে ততদিন বাংলাদেশের যে কোন জঙ্গী ঘটনা নিয়ে জঙ্গী তৎপরতা মনিটরকারী পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ভুল করবে। আর বার বার বাংলাদেশ যাতে এই ভুলভাবে বিশ্বে চিহ্নিত না হয় তার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতরকে আরও তৎপর হতে হবে। তাদের পশ্চিমা বিশ্বে বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে ধরতে হবে, বাস্তবে বাংলাদেশে জামায়াত ও বিএনপির বর্তমান ভূমিকা কী। এখন প্রশ্ন, ঘটনা এ সময়ে কেন ঘটানো হলো? এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বিদেশ থেকে ফিরে তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, এটা দুটো যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রীর এ কথা শতভাগ সত্য। দেশের মানুষও জানে প্রতিটি যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের পরে জামায়াত ও বিএনপি নতুন নতুন কৌশলে দেশকে অস্থির করার চেষ্টা চালায়। এবারও তারা যে নতুন কৌশল নিয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এখন প্রশ্ন- সাকার রায় ঘোষণা হয়েছে ২৯ জুলাই ও মুজাহিদের রায় ১৬ জুন। অন্যদিকে আইন অনুযায়ী রায় কার্যকর নবেম্বরের শেষ দিকে বলেই আইনজ্ঞরা মনে করছেন। তাহলে রায় ঘোষণার ও কার্যকরের আগে-পিছে না গিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তারা কেন এ কাজে নামল? বাস্তবে বাংলাদেশে যে কোন জঙ্গী ঘটনা ঘটে বিএনপির নির্দেশে বা তাদের ছত্রছায়ায়। বিএনপির মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিকে থামিয়ে দেয়া। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে স্তব্ধ করে দেয়া। সে কারণেই কিন্তু তারা এ সময়টি বেছে নিয়েছে। কারণ, তারা জানে ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ ক্রিসমাসের পোশাক কেনার অর্ডারগুলো এখন আসবে। এ সময়ে বাংলাদেশে কোনরূপ অস্থিতিশীলতা বা বিশেষ করে বাংলাদেশে আইএস-এর তৎপরতা শক্তিশালী হয়েছে এটা পশ্চিমা বিশ্বকে বোঝাতে পারলে গার্মেন্ট শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সব থেকে বড় রফতানিমুখী শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্যই কিন্তু বিএনপির এ তৎপরতা। আর কেন বিএনপির তৎপরতা আইএস হিসেবে পশ্চিমা বিশ্বে চিহ্নিত হলো সে কথা লেখার শুরুতেই উল্লেখ করেছি। তবে কোন দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দেশের সবাইকে এবং রাষ্ট্রের সব বিভাগ ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অত্যন্ত শান্ত মাথায় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়। বাংলাদেশে কখনও কখনও সমন্বয়হীনতা বড় হয়ে ওঠে। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরাও রাষ্ট্র ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কথা বলেন ও কাজ করেন। তবে এবারের ঘটনার পর সরকারের নির্বাহী বিভাগকে খুবই শান্ত মাথায় এগুতে দেখা গেছে। যেমন প্রধানমন্ত্রী দেশে ছিলেন না (যদিও তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে প্রধানমন্ত্রী কোথায় থাকলেন এ বড় কোন বিষয় নয়), তার পরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এবং সংযতভাবে জানিয়ে দেন, এটা আইএস-এর কাজ নয়। সরকার তদন্ত করছে। প্রধানমন্ত্রী ফেরার আগেই যে তদন্ত কাজ অনেক দূর এগিয়েছিল তা বোঝা গেল প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এটা আইএস-এর কাজ নয়। বাংলাদেশে ওইভাবে আইএস সংগঠিত হতে পারেনি। এ বিএনপি-জামায়াতের কাজ। অর্থাৎ দেশে পৌঁছে অথবা পৌঁছানোর আগে তিনি তদন্ত রিপোর্টের গতি-প্রকৃতি জেনেছেন। তবে ওই যে একটা কথা আছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দশহাতে যা গুছিয়ে আনেন তাঁর রাষ্ট্রে, সরকারে বা দলের কেউ কেউ তা ধ্বংস করার চেষ্টা করেন। কেন করেন তা আমাদের জানার কথা নয়। প্রধানমন্ত্রীই জানবেন। যেমন প্রধানমন্ত্রী ৪ অক্টোবর সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন, বাংলাদেশে আইএস সংগঠিত হতে পারেনি। বিদেশী নাগরিক হত্যাকা- ঘটিয়েছে জামায়াত-বিএনপি। অথচ তার পরদিনই ৫ অক্টোবর ভারতের গুজরাটের ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির অডিটরিয়াম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মি. সুরেন্দ্র কুমার সিনহা জানালেন, ‘বাংলাদেশে আইএস ঘাঁটি গেড়েছে এবং ইতালির নাগরিক ও চার ব্লগার হত্যার এভিডেন্স এটা স্পষ্ট করে দেয়।’ যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, জি নিউজ , পিটিআই প্রচার করে। মিডিয়া ওয়ার্ল্ডে ভারত তৃতীয়। এখনও বিবিসি সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে মিডিয়া জগতে ব্রিটেন এক নাম্বারে, আমেরিকা দুই, তারপরেই ভারতের স্থান। তাই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আইএস নেই একথা বলার একদিন পরেই যখন ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশে আইএস আছে এবং ইতালীয় নাগরিক হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী আইএস তখন বিষয়টি কী দাঁড়ায়? তখন কি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অর্থাৎ বিদেশী নাগরিক হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াত-বিএনপি দায়ী তা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে প্রশ্নের মুখোমুখি পড়ে যায় না? বাস্তবতার ও সত্যতার ওপর নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয়েছে ঘটনা বিএনপি ঘটিয়েছে। কিন্তু বিএনপিকে তো পশ্চিমা বিশ্ব সব সময়ই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করে (যদিও দেশের বাস্তবতায় তা নয়)। তাই তিনি জামায়াত-বিএনপিকে দায়ী করার ঠিক একদিন পরেই একজন অমুসলিম প্রধান বিচারপতি যখন ভারতের মাটিতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশে আইএস আছে। ইতালীয় নাগরিক হত্যাকা-ের জন্য আইএস দায়ী। আর ভারতের শক্তিশালী মিডিয়া যখন তা প্রচার করে-তখন পশ্চিমারা বিষয়টি কীভাবে নেবে? তারা কি ভাববে না প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করতে একথা বলেছেন! প্রধান বিচারপতি কেন ভারতের মাটিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিপরীতে অবস্থান নিলেন তা দেশের মানুষের জানার কথা নয়। এ সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি তাই ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উচিত হবে, এই বক্তব্য যে সম্পূর্ণ মি. সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ব্যক্তিগত, এর সঙ্গে রাষ্ট্রের বা সরকারের কোন সম্পর্ক নেই এটা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয়া। তা না হলে বিষয়টি রাষ্ট্রের জন্য ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য ক্ষতিকর। তবে মি. সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য দুই কারণে অনেকটা ফালতু প্রমাণিত হয়েছে। এক, তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন। দুই, পরদিনই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিদেশী হত্যাকা- জামায়াত-বিএনপির কর্মীদের কাজ। তবে পর পর এই কয়েকটি ঘটনা ঘটার পরে দেশে কমবেশি একটি আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, মিডিয়ার উচিত হবে এ আতঙ্ক দূর করা। পাশাপাশি সরকার ভেবে দেখতে পারে, আগের মতো আবার র‌্যাবের চৌকি ও টহল চালু করা যায় কিনা? সরকারকে কিন্তু একটি বিশেষ ষড়যন্ত্রের ও অপপ্রচারের কারণে ওই টহল ও চৌকি বন্ধ করতে হয়েছিল। কারণ, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকা-টি ছিল একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যা দিয়ে একটি বাহিনীর সার্বিক অর্জনকে ধুয়ে দেয়া যায় না। অতি উৎসাহী একটি আদেশ ও তথাকথিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন আইনজীবী যিনি প্যাথলজিক্যালি শেখ হাসিনা বিরোধী তাঁর তৎপরতার কারণে মানুষের মনে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়। কারণ, আমরা অনেক সময় ভেবে দেখি না ওই ধরনের আদেশ জুডিসিয়াল অটোক্রেসি কীনা? আর তার সুযোগ নিয়ে এই গোষ্ঠী নেমে পড়ছে কিনা? যাহোক, এ প্রসঙ্গ বিস্তারিত এখানে নয়। এ মুহূর্তে দেশের মানুষকে শতভাগ আতঙ্কমুক্ত করা একটি বড় কাজ। পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে ও সব ষড়যন্ত্রকারীর অপতৎপরতা রুখে দেশকে স্থিতিশীল রাখাই এখন বড় প্রয়োজন। তাই সরকার র‌্যাবের চৌকি ও টহলের বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে। [email protected]
×