ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্টারের হোঁচট, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান ফিওরেন্টিনার

জয়ের ধারায় জুভেন্টাস

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৬ অক্টোবর ২০১৫

জয়ের ধারায় জুভেন্টাস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে নিজেদের মাঠে জয়ের দেখা পেল জুভেন্টাস। চলতি মৌসুমে চারবারের প্রচেষ্টায় রবিবার ঘরের মাঠে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল ইতালিয়ান সিরি’এ লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এদিন তারা ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বোলোগনাকে। তবে পয়েন্ট টেবিলে এখনও নিচের দিকেই অবস্থান তাদের। মৌসুমের প্রথম সাত ম্যাচ শেষে মাত্র আট পয়েন্ট সংগ্রহ জুভিদের। যে কারণে অবস্থান ১২ নাম্বারে। জুভেন্টাস ছাড়াও এদিন জয়ের দেখা পেয়েছে ফিওরেন্টিনা, রোমা, ন্যাপোলি এবং ল্যাযিও। তবে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ইন্টারমিলান এবং উদিনেসের বিপক্ষে জেনোয়ার ম্যাচটি ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ে শেষ হয়। ইতালিয়ান সিরি’এ লীগের সবচেয়ে সফল দল জুভেন্টাস। সর্বোচ্চ ৩১ বার লীগ শিরোপা জয়ের অনন্য কীর্তি গড়েছে তারা। সর্বশেষ চার মৌসুমে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ডটাও তাদের। অথচ সেই জুভেন্টাসই চলতি মৌসুমে নিষ্প্রভ। সাত ম্যাচে জয় মাত্র দুটিতে। নতুন মৌসুমের প্রথম তিন ম্যাচে জয়বঞ্চিত থাকে জুভিরা। চতুর্থ ম্যাচে জেনোয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা মিলে তাদের। বোলোগনার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দুটির একটিতে ড্র আর পরাজয়ের লজ্জা পেয়েছিল তারা। যে কারণে বোলোগনার বিপক্ষে ম্যাচেও সংশয় ছিল জুভেন্টাসের ভক্ত-অনুরাগীদের। জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটেই বোলোগনাকে লিড এনে দেন ফরাসী স্ট্রাইকার এ্যান্থোনি মোনিয়ার। তবে ৩৩ মিনিটে গোল পরিশোধ করেন জুভেন্টাসের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা। এর ফলে ১-১ সমতায় থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। আর পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ২১ বছর বয়সী আজেন্টিনার উদীয়মান স্ট্রাইকার পাওলো দিবালা। আর তৃতীয় গোলটি করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার স্যামি খেদিরা। জুভিদের হয়ে অভিষেক লীগ ম্যাচেই গোল করে নিজের জাত চেনান তিনি। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মোরাতার ক্রসে হেডে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ২৮ বছর বয়সী এই জার্মান মিডফিল্ডার। এরপর আর কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। এর ফলে নির্ধারিত সময় শেষে স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পগবা-দিবালা-কুয়াদরাদোরা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস-বোলোগনা ছাড়াও এদিন অন্য হাইভোল্টেজ ম্যাচে এসি মিলান আতিথ্য দেয় শক্তিশালী নেপোলিকে। কিন্তু ঘরের মাঠে নেপোলির বিপক্ষে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে এসি মিলান। এ নিয়ে মৌসুমের প্রথম সাত ম্যাচের চারটিতেই লজ্জাজনক পরাজয়ের স্বাদ পেল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ বারের লীগ চ্যাম্পিয়নরা। সান সিরো স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এ্যালান লরেইরোর গোলে লিড নেয় নেপোলি। এর ফলে এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। সমতায় ফেরার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামলেও উল্টো আরেকটি গোল হজম করে মিলান। ৪৮ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়েইনের সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকার লরেঞ্জো ইনসাইন। এর ১৯ মিনিট পর অসাধারণ ফ্রি-কিকে জোড়া গোল আদায় করেন লরেঞ্জো। তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে মিলান। ভাগ্যই বোধহয় তাদের সহায় ছিল না। ম্যাচজুড়ে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেও জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি স্বাগতিকরা। এমনিতেই বড় ব্যবধানে পিছিয়ে, তারওপর যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায় ৭৭ মিনিটে ডিফেন্ডার রদ্রিগো এলির আত্মঘাতী গোল। তাই ম্যাচ শেষে লজ্জাজনক পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মন্তোলিভো-বাক্কা-লুইজ আদ্রিয়ানোরা। নেপোলির কাছে হারের ফলে মিলানের অবস্থান লীগ টেবিলের ১১তম স্থানে। তাদের পরই অবস্থান বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের। আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে নেপোলির অবস্থান ছয়ে। রবিবার ফিওরেন্টিনা ৩-০ ব্যবধানে এ্যাটলান্টাকে হারানোর সৌজন্যে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে অবস্থান করছে।
×