ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মর্যাদার মাদ্রিদ ডার্বি অমীমাংসিত

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৬ অক্টোবর ২০১৫

মর্যাদার মাদ্রিদ ডার্বি অমীমাংসিত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মর্যাদার মাদ্রিদ ডার্বিতে কেউ হারেনি, কেউ জেতেনি। রবিবার রাতে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচটি অমীমাংসিত থেকেছে ১-১ গোলে। করিম বেঞ্জামার গোলে শুরুতে রিয়াল এগিয়ে গেলেও শেষদিকে লুসিয়ানো ভিয়েট্টোর গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক এ্যাটলেটিকো। ড্র করায় আরেকবার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারিয়েছে রিয়াল। মাদ্রিদ ডার্বি ড্র হওয়ায় পরশু লেভান্তের কাছে ১-০ গোলে হারের পরও সাত ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ভিয়ারিয়াল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট করে পেয়েছে চার দল। তবে গোলগড়ে এগিয়ে থেকে রিয়াল দ্বিতীয়, সেল্টা ভিগো তৃতীয় ও বার্সিলোনার অবস্থান চার নম্বরে। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে এ্যাটলেটিকো। এবার লা লিগার শিরোপা লড়াই দারুণ জমে উঠেছে। অন্যান্য মৌসুমে যেমন শুধুই রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সিলোনা ও এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের লড়াই দেখা যেত এবার সেই হাওয়া বদলেছে। চলমান মৌসুমে শিরোপা লড়াইয়ে ভালোমতো যোগ দিয়েছে ভিলারিয়াল ও সেল্টা ভিগো। ভিসেন্টে ক্যালডেরনে দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ড্র হওয়ায় আরও জমজমাট ও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে লা লীগার শিরোপা লড়াই। নিজেদের মাঠে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে এ্যাটলেটিকো। নবম মিনিটে ডানিয়েল কারভাহালের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন রিয়ালের ফরাসী স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জামা। ম্যাচের ২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পায় এ্যাটলেটিকো। কিন্তু এ্যান্টোনিও গ্রিজম্যানের স্পট কিক রুখে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক কেইলন নাভাস। ৮৩ মিনিটে অবশ্য আর হতাশ হতে হয়নি স্বাগতিকদের। গোল করে সমতা ফেরান বদলি হিসেবে মাঠে নামা লুসিয়ানো ভিয়েট্টো। ম্যাচে রিয়ালের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। একটি গোল করতে পারলেই আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়ালের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে এই পর্তুগিজ ফুটবলারের সামনে। রিয়াল অবশ্য এরই মধ্যে সংবর্ধনা দিয়ে দিয়েছে রোনাল্ডোকে। কিন্তু রেকর্ড বই অনুসারে এখনও ৩২৩ গোল নিয়ে রিয়ালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি রাউলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। কাফ ইনজুরির কারণে গ্যারেথ বেলকে মূল একাদশে খেলাননি রিয়াল কোচ রাফায়েল বেনিতেজ। যদিও ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল রিয়াল। কিন্তু এই ধারা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি তারা। বিশেষ করে বিরতির পর এ্যাটলেটিকো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে। এই অর্ধে ম্যাচে ফিরে আসার লক্ষ্যে স্বাগতিক কোচ দিয়াগো সিমিওনে বদলি বেঞ্চ থেকে ভিয়েট্টো, মার্টিনেজ ও ইয়ানিক ফেরেইরা কারাসকোকে মাঠে নামান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এ্যাটলেটিকো। প্রথম সুযোগটি পেয়েছিলেন ফার্নান্ডো টোরেস। কিন্তু কোরিয়ার বাড়ানো বল থেকে তার শটটি অল্পের জন্য গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৬৬ মিনিটে ইস্কোর পরিবর্তে মাঠে নামেন বেল। কিন্তু আক্রমণভাগে অন্যদের মতোই রিয়ালের জন্য খুব একটা সুখবর আনতে পারেননি এই ওয়েলসম্যান। উল্টো ৮৩ মিনিটে ভিয়েট্টোর গোলে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি রিয়ালের। ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ রাফায়েল বেনিতেজ বলেন, আমরা দুই পয়েন্ট হারিয়েছি। যদিও ম্যাচে আমরাই এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি ও গোল উপহার দিয়ে আমরা ম্যাচ হাতছাড়া করেছি। কাউন্টার এ্যাটাকে আমাদের এখনও দুর্বলতা আছে। আটটি কাউন্টার এ্যাটাকের সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে লাগাতে পারিনি। এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়াগো সিমিওনে বিশ্বাস করেন এই ম্যাচে তার দলেরই জেতা উচিত ছিল। তার মতে, দ্বিতীয়ার্ধে এ্যাটলেটিকোই বেশি সুযোগ পেয়েছে। এদিকে ম্যাচ শেষে পেনাল্টি রোখার বিষয়টি রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস ভাগ্য বলেই উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ঈশ্বর ওখানে ছিলেন, সঠিক পথে যেতে তিনি আমাকে সাহায্য করেন।
×