ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল

মৌলভীবাজারে জমি অধিগ্রহণে ৩৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে বেজা

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৬ অক্টোবর ২০১৫

মৌলভীবাজারে জমি অধিগ্রহণে ৩৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে বেজা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মৌলভীবাজারে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) কাছ থেকে ৩৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। সদর উপজেলার শেরপুর এলাকায় প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমির পরিমাণ প্রায় ৩৫২ একর। এর মধ্যে খাস জমি ১১২ একর। ২০১২ সালে হবিগঞ্জ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ঋণের অর্থের পুরোটাই জমি অধিগ্রহণে ব্যয় করা হবে। আর অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে রাজি হয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। বুধবার বিকেলে এ উপলক্ষে রাজধানীর কাওরান বাজারের বিডিবিএল ভবনে বেজা কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এবং বিআইএফএফএলের নির্বাহী পরিচালক ও সিইও এসএম ফরমানুল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ সময় বেজার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আবদুস সামাদ এনডিসি, প্রকল্প পরিচালক মোঃ হারুনুর রশীদসহ বেজা ও বিআইএফএফএলের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৩ বছরের রেয়াতসহ চুক্তির মেয়াদ হবে ১০ বছর। প্রথম তিন বছর সুদের হার হবে ৫ শতাংশ। পরবর্তী বছরগুলোতে এই হার হবে অন্যূন ৯ শতাংশ। সভাপতির বক্তব্যে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, শেরপুর হচ্ছে সিলেট বিভাগের চার জেলার সঙ্গমস্থল। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে সিলেট বিভাগের অনেক প্রবাসীই শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসবেন। শিল্পায়ন না হলে দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। ‘জনস্বার্থ সংস্থার’ প্রতিবেদন গ্রহণ করা হবে না অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ করা হবে না। তফসীলি ব্যাংকগুলোকে সোমবার এ সংক্রান্ত এক চিঠির মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ কার্যকর করা হয়েছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপস্থাপিত আর্থিক বিবরণী বা প্রতিবেদন গ্রহণ করা হবে না। কেবলমাত্র তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদন গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে প্রস্তুতকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করতে হবে।
×