ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাদী উপস্থিত না হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৬ অক্টোবর ২০১৫

বাদী উপস্থিত না হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত না হওয়ায় পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির মামলার বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং মামলার আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন পুঁজিবাজার মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক হূমায়ুন কবীর এ আদেশ দেন। ২০০০ সালের সৌদি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড এগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট (সাবনিকো) শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার বাদী ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক মাহবুবুর রহমানের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য সোমবার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ছিল। আদালতে মাহবুবুর রহমান উপস্থিত না হওয়ায় বিএসইসির আইনজীবী মাসুদ রানা সময় চেয়ে আবেদন করেন। শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়েরকৃত কয়েকটি স্থগিত মামলার বিষয়ে মাহবুবুর রহমান হাইকোর্টে গিয়েছেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানিয়ে সময়ের প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত এই যুক্তিকে সন্তোষজনক মনে না করে সময় আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অপরদিকে আসামির আইনজীবীর আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলার আসামি ও সাবিনকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কুতুবউদ্দিন আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পর বিএসইসির আইনজীবী মাসুদ রানা বলেন, পুঁজিবাজার কারসাজির অভিযোগে দায়েরকৃত স্থগিত মামলার বিষয়ে মাহবুবুর রহমান হাইকোর্টে গিয়েছেন। যে কারণে তিনি আদালতে আসতে পারেননি। তাই সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত তা নামঞ্জুর করে ওয়ারেন্ট জারি করেছে। সাবনিকোর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কুতুবউদ্দিনের আইনজীবী এস এম আবুল কালাম বলেন, আমরা আসামির জামিন আবেদন করেছিলাম এবং আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। আদালতে অন্যদের মধ্যে আসামি মোঃ কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও বিএসইসির উপ-পরিচালক এ এস এম মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের জুন থেকে জুলাই সাবনিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন ব্রোকারস হাউসে শেয়ার লেনদেন করতেন। একইদিনে বিভিন্ন ব্রোকারস হাউসে শেয়ার কিনতেন এবং একই শেয়ার অন্য ব্রোকারস হাউসের মাধ্যমে বিক্রয় করতেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে সাবনিকোর আনসীল ফান্ড ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটির জন্য শেয়ার কিনতেন। এই শেয়ার ক্রয়ের উদ্দেশ্য ছিল কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ানো। এদিকে সোমবার প্লেসমেন্ট শেয়ার কেলেঙ্কারির নবীউল্লাহ নবীসহ ৩ জনের অপর মামলায় ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা হয়েছে। এ মামলার আসামিরা হলেন- গ্রিন বাংলা কমিউনিকেশন কোম্পানিসহ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রয়াত নবীউল্লাহ নবী ও সাত্তারুজ্জামান শামীম। ২০১৩ সালের জুন মাসে নবীউল্লাহ নবী ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।
×