ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈকতের ডাবল সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৫ অক্টোবর ২০১৫

সৈকতের ডাবল সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ১৭তম জাতীয় ক্রিকেট লীগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথমদিনে দুই শতক হয়েছিল। রাজশাহীর ইরফান শুকুর ও বরিশালের ফজলে মাহমুদ শতকগুলো করেছিলেন। দ্বিতীয় দিন তিনটি শতক হয়েছে। এক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতই ডাবল শতক করে ফেলেছেন। বরিশালের এ ব্যাটসম্যান অপরাজিত ২০০ রান করেছেন। এদিনে খুলনার মোঃ মিঠুন ১৪ রানের জন্য ডাবল শতক হাতছাড়া করেছেন। আর ঢাকার নাদিফ চৌধুরীও ১১১ রানের ইনিংস খেলেছেন। তিন সেঞ্চুরিয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তিন দলই আছে সুবিধাজনক স্থানে। সিলেটের বিপক্ষে বরিশাল ৪১৫ রানে এগিয়ে রয়েছে। রংপুরের বিপক্ষে ৩৫১ রানে ঢাকা ও ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৩৭৭ রানে এগিয়ে রয়েছে খুলনা। চট্টগ্রাম-রাজশাহী ম্যাচটিতে জমজমাট লড়াই চলছে। প্রথম স্তর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় রাউন্ডে খুলনার খেলোয়াড়রা যেন ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে আরাম-আয়েশ করে খেলছে। প্রথমদিন ৫ উইকেটে ২২৭ রান করে খুলনা। মোঃ মিঠুন ৮৭ রান করে ব্যাট হাতে ছিলেন। দ্বিতীয় দিন মিঠুন শতক পেলেন। ডাবল শতকের কাছাকাছিও চলে গেলেন। তবে ২৭০ বলে ২৪ চারে ১৮৬ রান করে আউট হয়ে যান। তার এ দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের ৬৭ রানে প্রথম ইনিংসে ৪৫৫ রান করে খুলনা। মোহাম্মদ শহীদ ৪ উইকেট নেন। ঢাকা মেট্রো ব্যাট করতে নেমে ৭৮ রান করে। দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়েও বসে। এখনও ৩৭৭ রানে পিছিয়ে আছে ঢাকা মেট্রো। মার্শাল আইয়ুব (২৭*) ও আসিফ আহমেদ (২৫*) মিলে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। মুস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট শিকার করেন। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে ঢাকা দুর্দান্ত খেলা বজায় রেখেছে। প্রথমদিন কেউই শতক পাননি। তবে ব্যাটসম্যানদের ঐক্যবদ্ধ নৈপুণ্যে ৯০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬৫ রান করে ঢাকা। নাদিফ চৌধুরী ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয়দিন শতকই করে ফেলেন। নাদিফের ১১১ রানে ৪৪৯ রান করে অলআউট হয় ঢাকা। তানভির হায়দার ৪ উইকেট নেন। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান করে ৩৫১ রানে পিছিয়ে আছে রংপুর। লিটন কুমার দাস ৫১ রান করেন। মোশাররফ হোসেন একাই ৩ উইকেট নেন। দ্বিতীয় স্তর প্রথম রাউন্ডে রাজশাহীকে যেভাবে চেপে ধরেছিল বরিশাল, দ্বিতীয় রাউন্ডে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিলেটকেও চেপে ধরেছে। ফজলে মাহমুদের ১০৩ রানে প্রথমদিন ৫ উইকেটে ৬৯ ওভারে ২৯৫ রান করে বরিশাল। প্রথমদিনে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকা প্রথম রাউন্ডের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দ্বিতীয় দিনে ডাবল শতকই করে ফেলেন। ২৪৫ বলে ১৫ চার ও ৭ ছক্কায় ২০০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ডাবল শতক হতেই ৯ উইকেটে ৫২৭ রান করা বরিশাল ইনিংস ঘোষণা করে। আবুল হাসান রাজু ৩ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে শাহনাজ আহমেদের অপরাজিত ৫৮ ও ইমতিয়াজ হোসেনের অপরাজিত ৫১ রানে বিনা উইকেটে ১১২ রান করে সিলেট। ৪১৫ রানে এখনও পিছিয়ে আছে। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম-রাজশাহী ম্যাচ জমে উঠেছে। ইরফান শুকুরের ১০২ রান ও মুমিনুল হকের ৯০ রানে প্রথমদিন ৮ উইকেটে ৩৪৬ রান করে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় দিন ৩৮৩ রানেই অলআউট হয়ে যায়। জবাবে প্রথম ইনিংসে রাজশাহীও জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৮১, ফরহাদ হোসেনের ৬৯ ও নাজমুল হোসেনের ৬১ রানে ৩০৮ রান করে অলআউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিনের খেলাও শেষ হয়। জুবায়ের হোসেন ৪ উইকেট নেন। চট্টগ্রাম ৭৫ রানে এগিয়ে রয়েছে। স্কোর ॥ দ্বিতীয়দিন শেষে প্রথম স্তর খুলনা-ঢাকা মেট্রো ম্যাচ খুলনা প্রথম ইনিংস প্রথমদিন ২২৭/৫; (মিঠুন ৮৭*) ও দ্বিতীয় দিন ৪৫৫/১০; ১১২.১ ওভার (মিঠুন ১৮৬, মিরাজ ৬৭, রাজ্জাক ৪৬; শহীদ ৪/৮৪)। ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংস ৭৮/৪; ৩০.১ ওভার (মার্শাল ২৭*, আসিফ ২৫*; মুস্তাফিজ ৩/১৯)। ঢাকা-রংপুর ম্যাচ ঢাকা প্রথম ইনিংস প্রথম দিন ২৬৫/৬; (রনি ৫৯, রকিবুল ৫২, মাইশুকুর ৩৫, সাইফুদ্দিন ৩৩, মজিদ ৩১, নাদিফ ২৯*) ও দ্বিতীয় দিন ৪৪৯/১০; ১৩৮.৩ ওভার (নাদিফ ১১১, মোশাররফ ৩৬, সাগীর ৩১, শরীফ ৩০; তানভির ৪/৬২, সোহরাওয়ার্দী ৩/১২০)। রংপুর প্রথম ইনিংস ৯৮/৩; ৩৯ ওভার (লিটন দাস ৫১, তানভির ১৭*, নাসির ১১*; মোশাররফ ৩/৩৩)। দ্বিতীয় স্তর বরিশাল-সিলেট ম্যাচ বরিশাল প্রথম ইনিংস প্রথম দিন ২৯৫/৬; (ফজলে মাহমুদ ১০৩, মোসাদ্দেক ৩১*) ও দ্বিতীয় দিন (মোসাদ্দেক ২০০*, সালমান ২২; রাজু ৩/৪৫, এনামুল জুনিয়র ৩/১১০)। সিলেট প্রথম ইনিংস ১১২/০; ৪০ ওভার (শাহনাজ ৫৮*, ইমতিয়াজ ৫১*)। চট্টগ্রাম-রাজশাহী ম্যাচ চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংস প্রথমদিন ৩৪৬/৮; (ইরফান ১০২, ইয়াসির ৯১, মুমিনুল ৯০, সাইফুদ্দিন ৪৬*) ও দ্বিতীয় দিন ৩৮৩/১০; ৯৫.৩ ওভার (সাইফুদ্দিন ৭৪*; জাবির ৩/৫৩, মুক্তার ৩/৭৫)। রাজশাহী প্রথম ইনিংস ৩০৮/১০; ৭১.৪ ওভার (জুনায়েদ ৮১, ফরহাদ ৬৯, নাজমুল ৬১; জুবায়ের ৪/১০৪)।
×