ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট সিরিজ

সালমাদের প্রথম ওয়ানডে পরীক্ষা আজ

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৪ অক্টোবর ২০১৫

সালমাদের প্রথম ওয়ানডে পরীক্ষা আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ শেষ। এবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার পালা। আজ প্রথম ওয়ানডে দিয়ে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে। সকাল সাড়ে নয়টায় করাচির সাউদার্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের মধ্যে প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে। মঙ্গলবার হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডে। দুটি টি২০ ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম টি২০তে ২৯ রানে হারের পর দ্বিতীয় ও শেষ টি২০তে ৩৪ রানে হেরে সিরিজই হেরে যায় সালমা খাতুনবাহিনী। ২-০ ব্যবধানে টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচেই ব্যাটসম্যানরা চরম ব্যর্থ হন। প্রথম টি২০তে ১২৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৯৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি২০তেও ভরাডুবি হয়। বোলাররা ভাল করলেও ব্যাটসম্যানরা সেই পুরনো চিত্রই দেখায়। এবার ১১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮০ রানের বেশি করতে পারেনি। হার হয় আরও বড় ব্যবধানে। আজ ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে। এ সিরিজে এখন কী করে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল, সেটিই দেখার বিষয়। এরআগে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের মধ্যে চারটি অফিসিয়াল ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচগুলোতে দুই দলের হার-জিত সমানে সমান। পাকিস্তান যেখানে জিতেছে দুটি ম্যাচে। বাংলাদেশও সমান সংখ্যক ম্যাচ জিতে নিয়েছে। ২০১২ সালে দুই দলের মধ্যকার প্রথম অফিসিয়াল ওয়ানডে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে সেই ম্যাচে ৪২ রানে হারে বাংলাদেশ। এরপর একই স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে হার হয়। তবে ২০১৪ সালে ভরাডুবি হয় পাকিস্তানের। বাংলাদেশে খেলতে এসে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাকানি-চুবানি খায়। পরপর দুই ম্যাচেই হারে। যেন বাংলাদেশ প্রতিশোধ নেয়। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে দেয়। প্রথম ওয়ানডেতে ৪৩ রানে ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে জিতে। এবার খেলা হচ্ছে পাকিস্তানে। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে টি২০ সিরিজ জেতায় পাকিস্তানই এগিয়ে রয়েছে। তাদের সামনে বাংলাদেশে হারার প্রতিশোধ নেওয়ার মিশনও আছে। তবে বাংলাদেশও কম এগিয়ে নেয়। প্রথমবারের মত আইসিসি মহিলা ক্রিকেট দল নিয়ে মাল্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশ র‌্যাঙ্কিংয়ের নবম স্থানে অবস্থান করছে। ক্রিকেটের তিন ফরমেট নিয়ে তৈরি এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম। দশটি দেশকে নিয়ে প্রকাশ করা আইসিসির র‌্যাঙ্কিয়ের নতুন এ তালিকা প্রকাশ করে আইসিসি জানায়, ‘আমরা ক্রিকেটের তিন ফরমেট বলতে ওয়ানডে, টেস্ট আর টি২০র পারফর্ম বিচার করে দেখেছি। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা দেশগুলোর পারফরম্যান্সের ৫০ শতাংশ বিচার করেছি। আর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে বর্তমান পারফর্মকে শতভাগ বিচার করে প্রথমবার এ মাল্টি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছি।’ র‌্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে আছে। অসিদের শীর্ষে রাখতে তাদের সহায়তা করে ২০১৩ সালের নারী বিশ্বকাপ এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জয়। সালমাবাহিনী ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে। র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা ১০ এ থাকার যে অনুপ্রেরণা মিলেছে, সেটি ওয়ানডে সিরিজে কাজেও লেগে যেতে পারে। বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেটারদের পাকিস্তান সফরে যাওয়া নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে গেছে সালমারা। দুটি টি২০ ম্যাচও খেলে ফেলেছে। এখন ওয়ানডে সিরিজে খেলতে নামার পালা। ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনাও আছে। প্রথমবারের মত পাকিস্তানে খেলতে গেছে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল। এত নিরাপত্তার মাঝে খেলেছে। মাঠের পরিবেশ বুঝতে এবং কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। এখন ওয়ানডে সিরিজে এর প্রভাব দেখা যেতে পারে। পাকিস্তান অধিনায়ক সানা মির বলেছেন, ‘আমরা সিরিজটিকে টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে নিচ্ছি।’ সেই প্রস্তুতি টি২০ সিরিজ ভালভাবেই নিয়েছে পাকিস্তান দল। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন বলেছেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ব। এশিয়ান গেমসের পর (২০১৪ সালের গেমস) আর কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি। অবশেষে কিছু প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলা হবে।’ সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা টি২০ ম্যাচে দেখা না গেলেও ওয়ানডেতে দেখা যেতে পারে। আজ প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হচ্ছে সেই সিরিজ।
×