ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রতারক চক্রের সিন্ডিকেট

প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২ অক্টোবর ২০১৫

প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১ অক্টোবর ॥ দক্ষিণ চট্টগ্রামজুড়ে প্রতারক চক্রের বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে। পটিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার সহজ-সরল মানুষ ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই প্রতারক চক্রে রয়েছে অর্ধ শতাধিকেরও বেশি প্রতারক। তারা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসোহারা দিয়ে প্রতারণা করে চলেছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামের গ্রিল ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী রতন চৌধুরীকে গ্রিল ওয়ার্কশপের কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চার দফায় হাতিয়ে নিয়েছে ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বাবুল আক্তার প্রতারক চক্রের বিশাল সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছেন বলে জানান। ইতোমধ্যে প্রতারক চক্রের সদস্য মোঃ বশর, মোঃ আলী, আবুল কাসেম প্রকাশ চাকমা কাশেমসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে দুই লাখ টাকা উদ্ধার করেন। এদিকে প্রতারণার শিকার পটিয়ার ব্যবসায়ী রতন চৌধুরীকে উল্টো ফাঁসাতে প্রতারক চক্রটি তৎপর হয়ে ওঠেছেন বলে ব্যবসায়ী জানান। গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, গ্রিল বানানোর কথা বলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামের গ্রিল ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী রতন চৌধুরীর কাছ থেকে একটি প্রতারক চক্র চার দফায় ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতারক চক্রটি অলিখিত একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ইসলামী ব্যাংকের একটি খালি চেক নেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে প্রতারক চক্রটি সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে তা সমাধানের চেষ্টা চালান। সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান না করায় ব্যবসায়ী বাদী হয়ে নগরীর হালিশহর থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং-২০। মামলার প্রেক্ষিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বাবুল আক্তারের নির্দেশে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম গত ২২ সেপ্টেম্বর নগরী ও পটিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেন এবং দুই লাখ টাকা উদ্ধার করে। এদিকে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেয়া খালি চেক ডিজঅনার করে উল্টো প্রতারক চক্রটি মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে পটিয়া কলেজ গেট এলাকার চন্দ মিষ্টি ভা-ার, মালতী ক্লথ স্টোর, আল হেরাম্যান হজ কাফেলা, হরিণখাইন এলাকার মাওলানা মোঃ তাজুল হুজুর, আবদুল মান্নান রানাসহ অসংখ্য সহজ সরল-মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বাবুল আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম নয়, চট্টগ্রামজুড়ে প্রতারক চক্রের বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছেন। শীঘ্রই প্রতারক চক্রের এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেফতার করা হবে।
×