ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে

দিনাজপুরে চালের বাজার অস্থির

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ২ অক্টোবর ২০১৫

দিনাজপুরে চালের বাজার অস্থির

সাজেদুর রহমান শিলু, দিনাজপুর ॥ হঠাৎ চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে ‘ধানের জেলা দিনাজপুরে’। গত পনেরো দিনের ব্যবধানে এই জেলায় বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ২শ’ থেকে আড়াই শ’ টাকা করে, যা কেজিতে দাঁড়ায় ৪ থেকে ৫ টাকার বেশি। আর সুগন্ধী চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। প্রতিকেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। চাল বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিক ও মজুদদাররা সিন্ডিকেট করেই এ দাম বাড়িয়েছে। আর মিল মালিকরা বলছেন, মজুদ কমে যাওয়ার কারণেই বেড়েছে চালের দাম। দিনাজপুরের চালের মোকাম বড় বন্দরবাজার গিয়ে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে দিনাজপুরের বাজারে ৫০ কেজি ওজনের প্রতিবস্তা মোটা চাল বিক্রি হয় ৯শ’ টাকা দরে। মিনিকেট ১৭শ’ টাকা, বিআর-২৮ বিক্রি হয় ১৫২০ টাকা। বিআর-২৯ বিক্রি হয় সাড়ে ১৪শ’ টাকা বস্তা দরে। কিন্তু এই কয়েক দিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি মোটা চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১শ’ টাকা, মিনিকেট ১৯৫০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ১৭শ’ টাকা আর বিআর-২৯ বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ টাকা বস্তা দরে। পাশাপাশি সুগন্ধীযুক্ত চালের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ৬০ টাকার কাঠারী বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে। ৬৫ টাকার জিরা কাঠারী বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা জানান, সকল প্রকার চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে ৬৫ টাকা কেজির কাঠারী চালের মূল্য এখন ৭৫ টাকা। আর বিআর-২৯ জাতের চালের কেজি ৩১ টাকার স্থলে ৩৩ টাকা থেকে ৩৪ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এভাবে হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা জানান, এখন কাজের মৌসুম নয়, ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প আয় দিয়ে পরিবারের আহার জোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। চাল কিনতে আসা মাহমুদ আলী জানান, ১৫ থেকে ২০ দিন আগে যে চাল ৩০ থেকে ৩১ টাকা ছিল, সেই চালের দাম বর্তমানে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে দিনমজুরি করে তার সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে কোন কাজ-কাম নাই, কোনদিন কাজ হলে টাকা পাওয়া যায়, না হলে বসে থাকতে হয়। এ অবস্থায় চালের দাম বেশি হওয়ায় তার সংসার নিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে। চাল কিনতে আসা দৌলত তালুকদার জানান, ‘কৃষকরা যখন ধান বিক্রি করে, তখন দাম থাকে না। আর এখন চাল কিনতে গেলে চালের দাম বেশি।’ তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থার কোন প্রভাব নেই জানিয়ে বলেন, এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে। ভারতে কালো টাকার মালিক ৬৩৮! অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতে কালো টাকার মালিক মাত্র ৬৩৮! গত বুধবার ছিল ভারতে কালো টাকা উদ্ধারে সরকারের স্বেচ্ছা ঘোষণার প্রকল্পের শেষ দিন। কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে জমানো গোপন টাকার হিসাব স্বেচ্ছায় জানানোর একটি সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এতে সাড়া দিলেন সর্বমোট ৬৩৮ জন। স্বেচ্ছা ঘোষণার প্রকল্পে প্রথম দিকে সেরকম সাড়া না মিললেও শেষ দিনে রীতিমতো লাইন পড়ে যায় দিল্লীর আয়কর দফতরে। দেশে একটিই দফতর ঠিক হয়েছিল এই কাজের জন্য। তাই নানা রাজ্য থেকেই আসতে হয়েছে লোককে। তবে ঘোষণাকারীরা নিজেরা তেমন আসেননি, চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট বা প্রতিনিধিদেরই পাঠিয়েছেন। ৬৩৮ জনের ঘোষিত সম্পদের মোট পরিমাণ ৩,৭৭০ কোটি রুপি। কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ডের (সিবিডিটি) চেয়ারম্যান অনীতা কাপুর জানান, ঘোষণাকারীদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩৮ জনের মতো। মোট ৩,৭৭০ কোটি রুপির হদিশ পাওয়া গেল। এবার কর আদায়ের পালা। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কর দিতে হবে ৩০ শতাংশ হারে, সঙ্গে জরিমান আরও ৩০ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে, বিদেশে ভারতীয়দের কালো টাকার যে পাহাড় জমে আছে বলে নানা সূত্র থেকে অনুমান করা হয়, তার তুলনায় এই টাকা একেবারেই সামান্য। সিবিডিটি’র বক্তব্য, স্বেচ্ছায় জানানোর সুযোগ পাওয়ার পরও যারা গোপন রাখলেন আয়, তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×