ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রহস্যের ঘূর্ণিপাকে বগুড়ায় কলেজছাত্রী হত্যাকাণ্ড

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১ অক্টোবর ২০১৫

রহস্যের ঘূর্ণিপাকে বগুড়ায় কলেজছাত্রী হত্যাকাণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ার কলেজছাত্রী রিফা তাসফিয়া তুবা (১৮) নিহত হওয়ার ঘটনাটি তিন দিনেই রহস্যের ঘূর্ণিপাকে পড়েছে। তদন্তকারী রেলপুলিশ ও জেলা পুলিশ উভয়েরই ধারণার দুই রকম ভাষ্য রহস্যের শাখা প্রশাখাকে আরও বিস্তৃত করছে। সাধারণের শঙ্কা- এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন হবে কিনা। গেল রবিবার দুপুরে সরকারী আযিযুল হক কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিফা তাসফিয়া তুবা শহরের সেউজগাড়ির নিজবাড়ি থেকে নাটাইপাড়া এলাকায় বান্ধবীর বাড়ির উদ্দেশে বের হয়। ওরা ৪ বোন। তুবা ছোট। বাবা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ অধ্যক্ষ। মা স্কুলের শিক্ষিকা। বেলা তিনটার দিকে ফোনে মেয়ের খোঁজ করলে সুইচ অফ পায়। বান্ধবীকে ফোন করলে জানায় সেখানে যায়নি। এরপর খোঁজ করার পালা। একপর্যায়ে জানা যায়, নাটাইপাড়া থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ছাতিয়ানতলা এলাকায় রেললাইনের ধারে এক তরুণীর লাশ পাওয়া গেছে। পরিবারের স্বজন লাশ শনাক্ত করে। রেলপুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। রেল পুলিশের ভাষ্য এটি হত্যাকা-। জেলা পুলিশের ধারণা ট্রেনে কাটা। আরেক অর্থ দাঁড়ায় আত্মহনন। তাহলে প্রশ্ন কেন? হত্যাকা- হয়ে থাকলে কারা এর সঙ্গে জড়িত এবং কেন? তুবা যে বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয় সেই নাটাইপাড়া থেকে ছাতিয়ানতলার দূরত্ব অন্তত দেড় কিলোমিটার। জায়গাটি এমন ওই সড়কে যানবাহন খুবই কম চলে। দিনের বেলায় গা ছমছম করে। কেন এই জায়গায় সে গেল। সে কি একা ছিল! পারিবারিক সূত্র জানায়, তুবার সঙ্গে একটি ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরা ও স্মার্টফোন ছিল। প্রায় তিন বছর আগে একই দিনে সে বহুতল ভবন থেকে লাফ দেয়। এখনও ভাঙ্গা পা ঠিক হয়নি। একা চলতে কষ্ট হয়। রেলপুলিশ সুরুতহাল রিপোর্টে বলেছে, মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। যে আঘাতে মগজ ছিটকে বের হয়ে পড়ে। গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক সন্দেহ হত্যার পর লাশ ফেলে দেয়া হয়। লাশটি পাওয়া যায় রেললাইন থেকে কয়েক মিটার দূরে এক জঙ্গলে। রেললাইনের ওপর ঝাঁপ দিলে দেহ ছিটকে এতদূর যেতে পারে কিনাÑ এটাও প্রশ্ন। অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনের কললিস্ট নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ যার সঙ্গে কথা হয়েছে তার নম্বর পেয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোন কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেছেন ফরেনসিক রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
×