ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় উজবেক ফুটবল দল, আজ আসছে লঙ্কানরা

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঢাকায় উজবেক ফুটবল দল, আজ আসছে লঙ্কানরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এএফসি অনুর্ধ ১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে অংশ নিতে মঙ্গলবার ঢাকায় এসে পৌঁছেছে ২৯ সদস্যের উজবেকিস্তান অনুর্ধ ১৯ ফুটবল দল। এদিন দুপুরে থাই এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় দলটি। আজ বুধবার ঢাকায় আসবে সর্বশেষ দল হিসেবে ২৮ সদস্যের শ্রীলঙ্কা অনুর্ধ ১৯ ফুটবল দল। শ্রীলঙ্কান মিহির লঙ্কা এয়ারলাইন্সের বিমানে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে তাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা। এর আগে প্রথম দল হিসেবে গত শনিবার ঢাকায় আসে ভুটান অনুর্ধ ১৯ ফুটবল দল। এএফসি অনুর্ধ ১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভুটান, উজবেকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম দল হিসেবে নাম ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু তারা নাম প্রত্যাহার করে নেয়। বাছাইপর্বের খেলা আগামী ২ থেকে ৬ অক্টোবর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। দুই অক্টোবর নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের যুবারা মোকাবেলা করবে শ্রীলঙ্কার। ৪ অক্টোবর ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৬ অক্টোবর শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী উজবেকিস্তান। ২০১৬ সালের অক্টোবরে (১৩-৩০) বাহরাইনে বসবে এএফসি অনুর্ধ ১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বের আসর। এ উপলক্ষে ১০ গ্রুপে মোট ৪২ দল বাছাইপর্বে অংশ নিচ্ছে। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা পাঁচ রানার্সআপ দল (স্বাগতিক বাহরাইনসহ ১৬টি) অংশ নেবে মূলপর্বে। বাছাইপর্ব খেলছে স্বাগতিক বাহরাইনও। তারা যদি কোন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন অথবা সেরা পাঁচ রানার্সআপের মধ্যে থাকে, সেক্ষেত্রে সেরা ষষ্ঠ রানার্সআপ দলটি সুযোগ পাবে মূলপর্বে খেলার। এএফসি অনুর্ধ ১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কাতার। সর্বোচ্চ ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা মিয়ানমারের, ৭টি। ১৯৫৯ সাল থেকে শুরু এই টুর্নামেন্টের যাত্রা। প্রতি দুই বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় এই টুর্নামেন্ট। এই আসরে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ছয়বার অংশগ্রহণ করেছে। প্রথম ১৯৭৫ সালে, সর্বশেষ অংশগ্রহণ ২০০২ সালে। প্রতি আসরেই গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম ১৯৮০ সালে। সেবার অবশ্য পাঁচটি দল লীগ পদ্ধতিতে খেলেছিল। সর্বোচ্চ ৪ ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। চার ম্যাচে দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করা বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম। এবার স্বাগতিক বাংলাদেশের লক্ষ্য চূড়ান্ত পর্বে খেলা।
×