ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাল শেয়ার মামলা সিএমসিতে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

জাল শেয়ার মামলা সিএমসিতে পাঠানোর নির্দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জাল শেয়ার, সার্টিফিকেট ও বরাদ্দপত্র বিক্রির জন্য দায়ের করা মামলা আবার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমসি) ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ভবনে অবস্থিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক হুমায়ুন কবীর মঙ্গলবার সকালে এ নির্দেশ দেন। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন আসামি তানলিন মাশফু। তাকে এ সময় সার্বিকভাবে সহায়তা করেন আইনজীবী প্রাণ কানাই রায় চৌধুরী। এ সময় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা খান উপস্থিত ছিলেন। মামলা ফেরত পাঠানোর কারণ হিসেবে আদালত জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দ-বিধি ৪০৩, ৪০৬, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭০, ৪৭১ ও ৪৭২ আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে। এ বিধান অনুযায়ী পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ মামলা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ অনুযায়ী দায়ের মামলা এ ট্রাইব্যুনালে পরিচালিত হবে, এর বাইরে নয়। এ মামলায় আসামিরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠান (সদস্য নম্বর ৫৯) টি. মাশফু এ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী তানলিন মাশফু ও হাওলাদার মোহাম্মদ আব্দুল বারিক। তবে তানলিন মাশফু জামিনে থাকলেও হাওলাদার মোহাম্মদ আব্দুল বারিক পলাতক রয়েছেন। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর আসামি তানলিন মাশফু ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে জামিন নেন। জানা গেছে, ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কাছে জাল শেয়ার, সার্টিফিকেট ও বরাদ্দপত্র বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মামলাটি ২০০০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় দায়ের করা হয়।
×