ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাউফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অমানুষিক নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাউফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অমানুষিক নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২৮ সেপ্টেম্বর ॥ বাউফলে একটি হাফেজি মাদ্রাসার ১২ বছরের এক শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক শিশু শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতনের পর বিকৃতভাবে তার মাথার চুল কেটে দিয়েছে। শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বগা ইউনিয়নের সবাপুরা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় রবিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। একই ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের আবদুল খালেক হাওলাদারের ছেলে মোঃ আনোয়ার (১২) সবাপুরা হাফেজি মাদ্রাসায় থেকে পড়ালেখা করে। সে এ পর্যন্ত ১২ পারা কোরআন শরীফ মুখস্থ করেছে। ঈদের ছুটিতে সে বাড়ি যায়। রবিবার ১১টার দিকে শিশু আনোয়ার বাড়ি থেকে ওই মাদ্রাসায় তার জামা-কাপড় আনার জন্য যায়। সে রুমের তালা খুলে জামা-কাপড় নিয়ে আবার বাড়ি চলে যায়। এতে শিক্ষক হাফেজ মোঃ আল আমিন ক্ষুব্ধ হন। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে তিনি আনোয়ারকে কোরআন খতমের কথা বলে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় ডেকে আনেন। এরপর তাকে জোর করে মাটিতে উপুড় করে শুইয়ে ফেলেন। এ সময় তিনি ৫-৬ জন শিক্ষার্থীকে ডেকে এনে আনোয়ারের হাত-পা ও মাথা চেপে ধরতে বলেন। এরপর তিনি বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আনোয়ারের পিটের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক আনোয়ারকে চিৎ করে তার বুকের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে মাথা ও ঘাড় মুচড়ে দেন। এসময় আনোয়ার চিৎকার করলে ওই শিক্ষক তার মুখের মধ্যে পানি ঢেলে একটি গামছা দিয়ে চেপে ধরেন। এভাবে ১৫-২০ মিনিট ধরে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর ব্লেড দিয়ে বিকৃতভাবে আনোয়ারের মাথার চুল কেটে দেন। এরপর এ নির্যাতনের কথা কাউকে না বলার জন্য আনোয়ারকে শাসিয়ে দেন। খবর পেয়ে আনোয়ারের ভগ্নিপতি মোতালেব মিয়া এসে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি আজম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে ঘটনাটি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×