স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এএফসি অনুর্ধ ১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের খেলা শুরু হবে আগামী ২ অক্টোবর থেকে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলো আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো। টুর্নামেন্টে অংশ নিতে মঙ্গলবার ঢাকায় পা রাখছে উজবেকিস্তান অনুর্ধ ১৯ জাতীয় ফুটবল দল। ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে মূলপর্বে উঠার লড়াই করবে ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও উজবেকিস্তান। সবার আগে শনিবার ঢাকায় এসে পৌঁছে ভুটান দল। মঙ্গলবার দুপুর ১২.১০ মিনিটে থাই এয়ারলাইন্সের টিজি ৩২১ নম্বর ফ্লাইটে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে উজবেক দল।
ঝুঁকি নিয়েই পাকিস্তান গেল সালমারা
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ এবং জঙ্গী হামলা প্রবণ পাকিস্তান। দীর্ঘ ৬ বছর সে কারণে পাকিস্তান সফর করেনি কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল। অবশ্য এ বছর মে মাসে জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফর করে। ওই সফরেও দ্বিতীয় ওয়ানডের সময় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের পাশে কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মাঝেও বোমা হামলা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও পাকিস্তান সফরে গেল বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল। সোমবার দুপুরে রওনা দিয়ে বিকেলেই করাচি পৌঁছেছে সালমা খাতুনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের দল। এ সফরে পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে দুই টি২০ ও দুই ওয়ানডের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। পাকিস্তানের কাছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা পেয়ে এবং পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখার পর সন্তুষ্ট হয়েই দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সিরিজের চেয়েও নিরাপত্তা ভীতিকে জয় করার চ্যালেঞ্জ এবার সালমাদের। বিশ্বের সন্ত্রাস-সংকুল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম পাকিস্তান। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত কোন বিদেশী দলই পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে যায়নি। তবে মে মাসে জিম্বাবুইয়ে দলের সফরের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ‘ঐতিহাসিক’ প্রত্যাবর্তন ঘটে। এবার বাংলাদেশের মেয়েরাও সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে পাকিস্তান সফরে গেল। তবে এ জন্য অনুমতি পেতে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটারদের সবচেয়ে আগে রাজি করাতে হয়েছে বাবা-মাকে। এ বিষয়ে অধিনায়ক সালমা বলেন, ‘এই সফরে নিরাপত্তার প্রশ্নে কোন উদ্বেগ নেই বললেই চলে। এই মুহূর্তে বিশ্বের অনেক দেশেই সন্ত্রাসী কর্মকা- হচ্ছে। এ বিষয়ে কেবল পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলে লাভ নেই। বোর্ড আমাদের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছিল যে আমরা যেতে চাই কি চাই না। কিন্তু আমরা ক্রিকেট খেলার জন্য বিশ্বের যে কোন দেশেই যেতে রাজি। কারণ ২০১৪ সালে ইনচন এশিয়া গেমসের পর আমরা আর কোন ক্রিকেটই খেলিনি। আমাদের মধ্যে কোন ভয় কাজ করছে না। আমরা যেখানে খেলব সেখানে কোন ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: