ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্যারাগন লেদার মামলায় দুই আসামির জামিন

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্যারাগন লেদার মামলায় দুই আসামির জামিন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্যারাগন লেদার এ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্টিজের শেয়ার সার্টিফিকেট প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত আসামি মোঃ জালাল উদ্দিন ও হেমন্ত বাইন ভূঞাকে জামিন দিয়েছেন পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্তরা সোমবার সকালে শুনানিতে উপস্থিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ভবনে অবস্থিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) হুমায়ুন কবীর সোমবার জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় কাঠগড়ায় আসামিরাসহ রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা খান, আসামিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ, আইনজীবী ইমানুর রহমান, জেসমিন আক্তারসহ আরও বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তবে আসামি এম এ সালাম শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তাকে জামিন দেয়া হয়নি। বরং তাকে জেলহাজতে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এমএ সালামের বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট পাওয়ার পর তার জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। ফলে এ মামলায় আটক পাঁচজনের মধ্যে চার আসামিকে বিশেষ বিবেচনায় জামিন দেয়া হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আব্দুস সালাম, ২৩ সেপ্টেম্বর এস এস জুনায়েদ বাগদাদী এবং ২৮ সেপ্টেম্বর মোঃ জালাল উদ্দিন ও হেমন্ত বাইনকে জামিন দেয়া হয়। আদালতের বিচার কার্যক্রম শেষে আইনজীবী ইমানুর রহমান বলেন, জালাল উদ্দিন ও হেমন্ত বাইন গত ১৪ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান। আদালতের নির্দেশে সোমবার শুনানিতে উপস্থিত হওয়ায় আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার ২০ জন আসামির মধ্যে পাঁচজন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। জেলহাজতে পাঠানো এ মামলার আসামিরা হলেন- প্যারাগণ লেদারের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম, কোম্পানিটির করপোরেট এ্যাডভাইজার আব্দুস সালাম (তিনি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড এ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের আইসিএবি সাবেক সভাপতি), এ্যাকাউন্ট অফিসার মোঃ জালাল উদ্দিন, শেয়ার অফিসার এসএম জুনায়েদ বাগদাদী ও কম্পিউটার অপারেটর হেমন্ত বাইন ভূঞা। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্যারাগন লেদারের শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসইসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে ওই কমিটি ২০০১ সালের ৩১মে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা কোম্পানির শেয়ার জাল করার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখে। পরে এই জাল শেয়ার সার্টিফিকেট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানিটির কিছু কর্মকর্তা ঋণের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেয়। আর ওইসব জাল শেয়ার সার্টিফিকেট ব্যাংকের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসে। শেষ পর্যন্ত ওইসব শেয়ার বাজারে এসে মারাত্মক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করে এবং নির্দোষ বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
×