ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ-ভারত ‘এ’ দলের তিন দিনের ম্যাচ, ইনজুরিতে রুবেল

সাব্বিরের শতকে এগিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সাব্বিরের শতকে এগিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কী দুর্দান্ত ব্যাটিংই না করলেন সাব্বির রহমান রুম্মন। একাই অপরাজিত ১২২ রান করলেন। তার এ শতকের পরও অবশ্য শিখর ধাওয়ানের ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে আন অফিসিয়াল টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২২৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে রবিবার ভারত সফরের শেষ এ ম্যাচটির প্রথমদিন শেষে ভারত ‘এ’ দল শিখর ধাওয়ানের অপরাজিত ১১৬ রানে ১ উইকেটে ১৬১ রান করায় ৬৭ রানে এগিয়ে রয়েছে মুমিনুল হকের দল। ওয়ানডেতে যেমন তাসকিন আহমেদ ইনজুরিতে পড়েছেন। এবারও একটি অঘটন ঘটেছে। ভারত ‘এ’ দলের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের সময় ২.৫ ওভারে গিয়ে পেসার রুবেল হোসেন ইনজুরিতে পড়ে গেছেন। ১৩১ বলে ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন সাব্বির। ব্যাঙ্গালুরু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসটা তারপরও খুব বড় হয়নি সফরকারীদের। তিনদিনের ম্যাচের প্রথম দিনে তারপরও বাংলাদেশ ভাল লড়াই করেছে বলতে হবে। বাংলাদেশ ‘এ’ প্রথম ৪ উইকেট হারায় ৬ রানে। এরপর শেষ ৪ উইকেট হারায় ৮ রানে। মাঝখানে লড়াইটা নাসির হোসেন, সাব্বির ও শুভাগত হোমের। ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ব্যাটসম্যানের সংগ্রামে সম্মানজনক একটি স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’। ২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’। টস জিতেছিল ভারত ‘এ’। শিখর ধাওয়ান ব্যাট করতে পাঠান প্রতিপক্ষকে। দ্বিতীয় ওভারেই স্পিডস্টার বরুন এ্যারন তুলে নেন দুই উইকেট। সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ড্রেসিং রুমে ফেরেন। দুজনই উইকেটের পেছনে নামান ওঝাকে ক্যাচ দিয়েছেন। মুমিনুল ২ রান করলেও রান করতে পারেননি সৌম্য। এই ম্যাচে রাখা হয়নি রনি তালুকদারকে। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ঈশ্বর পান্ডে তুলে নেন এনামুল হককে। এনামুলও কোন রান করতে পারেননি। তিনিও ওঝার কাছে ক্যাচ দিয়েছেন। ষষ্ঠ ওভারে বরুনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন লিটন দাস। দলের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। শূন্য রানে আউট হয়েছেন শেষ তিন ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও জুবায়ের হোসেনও। বাংলাদেশের ইনিংসে মোট ছয়টি শূন্য! ৬ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন নাসির। কিন্তু তার ব্যাটে ছিল আক্রমণ। ২৮ বলে ৭ চারে ৩২ রান করেন তিনি। দলের যখন উইকেটে থিতু হওয়ার দরকার তখন নাসিরের খেলা প্রশ্ন জাগিয়েছে। ৫০ রানের সময় তিনি বিদায় নেন। ৫ উইকেট হারিয়ে তখন খাবি খাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’। এর পরের গল্পটা বীরোচিত জুটির। ষষ্ঠ উইকেটে শুভাগত ও সাব্বির প্রতিরোধের দেয়াল তুলে দাঁড়ান। সফলও হয়েছেন তারা। ভারতীয়রা উইকেটের জন্য লড়ে গেছেন। উইকেট পায়নি। আগের তিনদিনের ম্যাচে কর্নাটকের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ফিফটি করেছেন শুভাগত। তার ব্যাটে রানের ধারা অব্যাহত ছিল। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও ফিফটি করেছেন তিনি। কিন্তু বরুনের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় তাকে। শুভাগত ১৩২ রানের জুটি গড়েছেন সাব্বিরের সঙ্গে। তারপর ৯৫ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় গড়া তার ৬২ রানের ইনিংস শেষ হয়। দলের রান তখন ১৮২। পরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল সাকলাইন সজিব ৪ রান করেছেন। বাকি সবার অবদান শূন্য। রান যা করার তা করেছেন সাব্বিরই। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। পরের ব্যাটসম্যানরা যখন মুখ থুবড়ে পড়েন তখন সাব্বির ১২২ রানে অপরাজিত। তার ইনিংসে ২৩ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো। শেষ চার উইকেট নিয়েছেন যাদব। তার ও বরুনের শিকার সমান ৪ উইকেট। বাংলাদেশের ইনিংস শেষে ভারত ‘এ’ দল খেলতে নেমে ১১২ বলে ১৬ চার ও ২ ছক্কায় করা ধাওয়ানের অপরাজিত ১১৬ রানে ৩৩ ওভারে ১৬১ রান করে। আজ ধাওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনে ৬ রানে ব্যাট করতে থাকা আইয়ার ব্যাট করতে নামবেন। স্কোর ॥ প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ‘এ’ প্রথম ইনিংস ২২৮/১০; ৫২.৪ ওভার (সাব্বির ১২২*, শুভগত ৬২, নাসির ৩২; যাদব ৪/২৮)। ভারত ‘এ’ প্রথম ইনিংস ১৬১/১; ৩৩ ওভার (ধাওয়ান ১১৬*, অভিনব ৩৪, আইয়ার ৬*)।
×