ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তাসখন্দে বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না ॥ অনিল শাস্ত্রী

লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর গোপন ফাইল প্রকাশের দাবি

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর গোপন ফাইল প্রকাশের দাবি

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুরহস্যের ‘গোপন’ ফাইল দেরি না করে প্রকাশ করার দাবি উঠেছে। শাস্ত্রীর পুত্র কংগ্রেস নেতা অনিল শাস্ত্রী শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া একটি সাক্ষাতকারে দাবি করেন, ‘বাবার দেহ যখন দিল্লী বিমানবন্দরে নামানো হয় তখন তার পুরো শরীর নীল হয়ে গিয়েছিল। তাকে দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। বাবার মুখটাও পর্যন্ত নীল ছিল। কপালের দু’পাশে স্পষ্ট সাদা ছোপও দেখেছিলাম। ওই অবস্থা দেখে মা তখনই বলেছিলেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।’ কিন্তু সে সময় ৬১ বছর বয়সি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে সরকারীভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। খবর আনন্দবাজারের। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার নেতাজীর মৃত্যুসংক্রান্ত ৬৪টি ‘গোপন’ ফাইল প্রকাশ করে। গত সাত দশক ধরে যে ফাইলগুলোকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। এরপর কেন্দ্রও যাতে নেতাজী সংক্রান্ত ‘গোপন’ ফাইলগুলো প্রকাশ করে, নেতাজীর পরিবারের তরফে সেই দাবিও জানানো হয়েছে। অনিল শাস্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। খুব জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়, কিন্তু মনে হয় তদন্তে যথেষ্ট গাফিলতি হয়েছে। কেউই তো শাস্তি পায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাবা নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। সেখানে অনেক খুঁটিনাটি কথা লেখা থাকত। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর থেকে ওই ডায়রিরও কোনও হদিস মেলেনি। যেমন খোঁজ পাওয়া যায়নি তার সঙ্গে যে ফ্লাস্কটি ছিল সেটিরও। হতে পারে সেখানেই এমন কিছু মেশানো হয়েছিল যার জেরে বাবার মৃত্যু হয়।’ লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং সচিবও দুর্ঘটনার শিকার হন। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুতে ‘রহস্য’টা কোথায়, তার সন্দেহ কেন, তা খোলসা করতে গিয়ে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পরের ঘটনাগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন অনিল। তার কথায়, ‘ওই ঘটনার পর তাসখন্দের হোটেলে বাবার যে খানসামা ছিল, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে ছাড়াও পেয়ে যায়। পরে আমার মা তাসখন্দে গিয়ে সেই খানসামার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, আমার মাকে জানানো হয়, ওই খানসামাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হোটেলে বাবা যে কক্ষে ছিলেন, সেই ঘরে বাবার খাটের পাশেই একটা ছোট্ট টেবিলে সেই রাতে রাখা ছিল একটা থার্মোফ্লাস্কও। বাবার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার আর এন চুঘ রাতে বাবাকে দেখতে গিয়ে টেবিলে ওই থার্মোফ্লাস্কটি দেখেছিলেন। বাবার রাতে গরম দুধ খেয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস ছিল। হয়তো সেই জন্যই ওই থার্মোফ্লাস্কটি রাখা হয়েছিল। কিন্তু, ওই থার্মোফ্লাস্কটিরও আর হদিস পাওয়া যায়নি।
×