ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মা ও নানিকে নির্মম নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়  মা ও নানিকে নির্মম  নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২২ সেপ্টেম্বর ॥ ১৩ বছরের শিশুকন্যাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে ছাগলে আমন চারা খাওয়ার অজুহাতে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়েছে শিশুটির মা ময়না বেগম ও নানি সুফিয়া বেগমকে। প্রকাশ্যে দিনের বেলা রাস্তায় ফেলে নির্দয়ভাবে পেটানো হয় হতদরিদ্র শ্রমজীবী এ দুই নারীকে। মারধরের সাতদিন পরও তাদের শরীরের কালো ছোপ ছোপ দাগগুলো মুছে যায়নি, এখনও ফুটে আছে স্পষ্ট। এ ঘটনায় সোমবার রাতে সুফিয়া বেগম কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। জানা যায়, চম্পাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে বাড়ি এ দুই নারীর। বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে ময়না বেগম তার ১৩ বছরের মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। উপার্জন বলতে রাস্তার মাটি কাটা, সেলাইয়ের কাজ কিংবা মাছ ধরা। নির্যাতনের বিচার এবং নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় মা সুফিয়া ও মেয়ে ময়না বেগম। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারা। সুফিয়া বেগম জানান, একই এলাকার লোকমান ফকির, কামাল ফকির, দেলোয়ার ফকিরসহ তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা তাকে ও তার মেয়েকে নির্যাতন করে। তারা মেয়ে ময়না বেগম ও নাতিকে এখনও বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। নির্বিঘেœ বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না তারা। লম্পটপনায় রাজি না হওয়ায় মিথ্যা অজুহাতে লাঠিপেটা করা হয় তাদের। ১৬ সেপ্টেম্বর নির্দয় নির্যাতনের পরে হাসপাতালে চিকিৎসার পরও শরীরের স্পর্শকাতর অংশে কালো ছোপ ছোপ দাগগুলো ফুটে আছে। সমস্ত শরীরে অসহ্য ব্যথা। বৃদ্ধ সুফিয়া বেগম আরও জানান, তার থুতনির কালো দাগটি এখনও ক্ষতচিহ্নের মতো ফুটে আছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তারা। পরিবারে কোন পুরুষ না থাকায় ওই চক্রটি তাদের ওপর ঘৃণ্য চক্রান্তে নেমেছে। বাড়িঘর এখন এদের কাছে অনিরাপদ হয়ে গেছে। কলাপাড়া থানার ওসি মোহাঃ আজিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×